Monday, February 17, 2025
বাড়িরাজ্যস্বর্নিম বিজয় মশালটিকে স্বাগত জানান জওয়ানরা

স্বর্নিম বিজয় মশালটিকে স্বাগত জানান জওয়ানরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৫ নভেম্বর : রাজ্যে এসে পৌঁছালো স্বর্নিম বিজয় মশাল। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিজয়কে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে এক বছর ব্যাপী নানান কর্মসূচি শুরু হয়েছে ২০২০সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে। তার প্রতীক হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেদিন নয়াদিল্লিতে স্বর্নিম বিজয় মশাল জ্বালিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন। ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল শাশ্বত মশাল থেকে চারটি বিজয় মশাল জালানো হয়।

সেগুলি ১৯৭১-এর যুদ্ধে পরম বীর চক্র, মহাবীর চক্র বিজেতাদের জন্মভূমিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সৈনিকরা আগরতলা শহরকে আক্রমণের লক্ষ্য বানিয়েছিল। কিন্তু মরণোত্তর পরম বীর চক্র ল্যান্স নায়েক এলবার্ট এক্কার সাহসী পদক্ষেপে আগরতলা শহর রক্ষা পায়। আগরতলার মানুষ তখন ভারতীয় সৈনিকদের শত্রু সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করেছিল। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকেও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছিল। সেই মোতাবেক স্বর্নিম বিজয় মশাল দেশের বিভিন্ন রাজ্য পরিক্রমা করে শুক্রবার ত্রিপুরা রাজ্যে এসে পৌঁছায়। রাজধানীর ডন বসকো স্কুল সংলগ্ন স্থান থেকে জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার এই স্বর্নিম বিজয় মশালকে শালবাগান মিলিটারি স্টেশনে নিয়ে যায়। ৫৭ মাউন্টেইন আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার নিলেশ চৌধুরী আগরতলার শালবাগানের মিলিটারি স্টেশনে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় স্বর্নিম বিজয় মশালটিকে স্বাগত জানান। শনিবার রাজ্যপাল সত্যদেব নারায়ন আর্য অ্যালবার্ট এক্কা যুদ্ধ স্মারক উদ্যানে যুদ্ধের হিরোদের সম্মানে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন।

 সেদিন বিকালে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বিজয় পরিক্রমার মধ্য দিয়ে স্বর্নিম বিজয় মশালটিকে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সহ অন্যান্যরা। স্বর্নিম বিজয় মশাল ত্রিপুরা রাজ্যে আসা রাজ্যের জন্য একটা গর্বের বিষয়। আর এই স্বর্নিম বিজয় মশালকে স্বাগত সমারোহ অনুষ্ঠানে সামিল হতে পেরে নিজে যথেষ্ট খুশি বলে অভিমত ব্যক্ত করেন জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার। ৫৭ মাউন্টেইন আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার নিলেশ চৌধুরী জানান ত্রিপুরাবাসি ও ভারতীয় সেনার মধ্যে একটা মিল রয়েছে। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে তা দেখা গেছে। সেই মিল এখনো রয়েছে। স্বর্নিম বিজয় মশাল ত্রিপুরা রাজ্যে এসে পৌঁছেছে এইটা রাজ্যের জন্য গর্বের বিষয়। শনিবার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই স্বর্নিম বিজয় মশাল রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে সমর্পণ করবেন বলেও জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য