স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ জুলাই : রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে রাষ্ট্রপত্নি বলে উল্লেখ করেন। কংগ্রেস সাংসদের এই মন্তব্যে উত্তাল সৃষ্টি করেছে বিজেপি। সারা দেশের মতো রাজ্যেও সদর (শহর) জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে চরম ধিক্কার কর্মসূচি সংঘটিত করা হয়।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং অধীর রঞ্জনকে সারা দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে দাবি জানিয়ে চরম ধিক্কার মিছিল সংঘটিত করা হয় এদিন। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেব, কিশোর বর্মন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেব বলেন, রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং লজ্জার। মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যখন দেশের নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করে চলেছে তখন দলিত বিরোধী, গরিব বিরোধী, মহিলা বিরোধী এবং জনজাতি বিরোধী কংগ্রেস দলের আসল চেহারা সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মাধ্যমে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অধীর রঞ্জন চৌধুরী এ ধরনের মন্তব্যে দেশ, মহিলা এবং জনজাতির অপমান বলে জানিন বিপ্লব কুমার দেব। তিনি আরো বলেন এগুলি কংগ্রেসের স্বভাব। অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে অবিলম্বে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা দরকার। পাশাপাশি তিনি সংসদ থেকে ইস্তফা দেওয়া দাবি জানান। কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা সবসময় ন্যায়ায় মহিলা, দলিত এবং জনজাতি বিরোধী, তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করে বিপ্লব কুমার দেব।
মহিলাদের এবং জনজাতিদের নিয়ে কংগ্রেসের যে ধারণা তা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর মন্তব্যে ফুটে উঠেছে। এটা কংগ্রেসের প্রকৃত রাজনৈতিক চরিত্র। কংগ্রেস ছোট মানুষকে সম্মান দেয় না। এটা বড়লোকের পার্টি বলে অভিমত ব্যক্ত করে নিন্দা জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তিনি আরো বলেন অন্তিম ব্যক্তি যখন দেশের সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছে গেছে, এটা কংগ্রেস সহ্য করতে পারছে না। তাই এ ধরনের মন্তব্য করছে। এর বিরোধিতা করে দেশের ৭৪০ টি জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান। এদিন মিছিলটি প্রদেশ বিজেপি কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরে বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। পরে প্যারাডাইস চৌমুহনি এলাকায় কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কুশপুতুল পুড়ানো হয়।