স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ জুলাই : সোনামুড়া বলারডেপা এলাকা থেকে নাবালিকা অপহরণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কোন কিনারা করতে পারে নি সোনামুড়া থানার পুলিশ। তাই বুধবার রাস্তা অবরোধ করে ছাত্র সমাজ বিক্ষোভে সামিল হয়। দাবি তোলা হয় নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য। উল্লেখ্য, সোনামুড়া থানাধীন কালাপানি গ্ৰাম পঞ্চায়েতর ৬ নং ওয়ার্ড এলাকার মনির হোসেনের নাবালিকা মেয়েটিকে রবিবার সকালে অপহরণ করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এদিন রবিবার সকাল সাড়ে ছয়টার নাগাদ প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়িতে যাওয়ার সময় বলারডেপা চৌমুহনী থেকে অপহরণের ঘটনার সংগঠিত হয়েছে বলে অভিযোগ।
নাবালিকা মেয়েটি শিক্ষকের বাড়িতে যাওয়ার সময় বক্সনগর থেকে কিছু দুর্বৃত্ত এসে নাবালিকা মেয়েটির সামনে হাজির হয়। কিন্তু মেয়েটির বোর্খা পড়ে থাকায় প্রথমে চিনতে পারিনি দুর্বৃত্তরা। নাবালিকা মেয়েটির সাথে থাকা বান্ধবীদের জিজ্ঞাসা করে সেই মেয়েটি কোনটা। তখন নাবালিকা মেয়েটি বিষয়টি টের পেয়ে দৌড়ে গিয়ে রাস্তার পাশে একটি দোকানে প্রবেশ করে। দোকান থেকে টেনে হিচড়ে মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারে লোকজনদের। অভিযোগের তীর বক্সনগরের আতিকুল মেম্বার, সুমন মিয়া, সোহাগ, সাদ্দাম, জাহাঙ্গীর এবং সুলেমান মেয়েটির পরিবারকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের রাজী ছিল না। এর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকিও দিতে শুরু করে সুলেমান মিয়া। কিন্তু তারপরেও কোন ধরনের সাড়া না দেওয়ায় মেয়েটিকে রবিবার সকালে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময় নাবালিকা মেয়েটির পিতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় যাতে থানায় মামলা দায়ের করতে না যায়। এবং মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি করতে বাড়ি থেকে বের হতে দেয়নি দুর্বৃত্তরা।
পরে মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে জঙ্গল পথে এসে সোনামুড়া থানায় মামলা দায়ের করে। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেল নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে পারিনি সোনামুড়া থানার পুলিশ। খবর পেয়ে অবরোধস্থলে ছুটে আসে সোনামুড়া থানার পুলিশ। পুলিশ অবরোধকারীদের আশ্বস্ত করলেও এদিন প্রতিবাদ তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ ধারণ করে। অবরোধকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ জানায়। তবে পুলিশের এহেন ভূমিকায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে বলা চলে।