স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ জুলাই : রাজ্যের সাড়ে চার বছরে ডাবল ইঞ্জিনে জং ধরেছে। দলের অন্দরে নেই শান্তি। মুখ্যমন্ত্রীর বদলের পর আরো অনেক কিছু অপেক্ষা। বিধায়কদের মধ্যে বেড়েছে ক্ষোভ যন্ত্রণার বহিঃপ্রকাশ। ফলে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পরও মানিক সাহাকে দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে বারবার ছুটতে হচ্ছে দিল্লিতে। নির্বাচনে ছয় মাস আগে জং ধরা ডাবল ইঞ্জিন সারাই করতে দিল্লি থেকে রাজ্যে আসতে হচ্ছে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় ইঞ্জিনিয়ারদের।
কারণ আগামী ছয় মাস অন্তর হবে বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে হতে পারে ভিলেজ কমিটির নির্বাচন। ইতিমধ্যে দলের বিধায়কেরাই একে অপরের সাথে রাম রাবণের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে। সুতরাং তাদের ঠান্ডা করা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন যতই এগিয়ে দলে মধ্যে গুষ্ঠি কোন্দল আরো চোখ রাঙাচ্ছে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে হতে চলেছে বহুমুখী লড়াই। দলের আভ্যন্তরীণ দুর্বলতা রেশ যদি ইতিমধ্যে কাটিয়ে উঠতে না পারে তাহলে আসন্ন শারদোৎসবের আগেই জং ধরা ডাবল ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই এবার জং কাটাতে দিল্লি থেকে শুরু হয়েছে প্যাসেঞ্জারী। মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির সর্বভারতী সভাপতি জেপি নাড্ডা রাজ্যে পাঠিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষকে। তিনি রাজ্য সফরে এসে তৃণমূল স্তর থেকে শীর্ষস্তর পর্যন্ত নেতৃত্বদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করবেন। এদিন এম বি বি বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্য প্রভারী বিনোদ সোনকর, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। ঠাসা দলীয় কর্মসূচী রয়েছে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারন সম্পাদক বি এল সন্তোষের।
দলে সংগঠনের আলোচনা ও পর্যালোচনা ধারাবাহিক ভাবে হয়ে থাকে। তারই অঙ্গ হিসাবে রাজ্যে এসেছেন সর্বভারতীয় সাংগঠনিক সাধারন সম্পাদক বি এল সন্তোষ। সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। কার্যকর্তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা নেবেন বলে জানান রাজ্য প্রভারী বিনোদ সোনকর। পরে বি এল সন্তোষ বিমানবন্দর থেকে রাজ্য অতিথিশালায় আসেন। সেখানে স্বাগত জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বি এল সন্তোষের আলোচনা হয় সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে। তারপর সেখান থেকে চলে আসেন প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে। প্রদেশ বিজেপি কার্যালয়ে বি এল সন্তোষ সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক, মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া সহ অন্যান্য বিধায়কদের সাথে সাংগঠনিক বিস্তার লাভ করাতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে পুরোহিত্য করেন। সেখানে এই সর্বভারতীয় নেতৃত্বের সাথে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।