স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ২৮ আগস্ট : গত কয়েক বছরে রাজ্যের জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গণেশ চতুর্থী। বিশেষ করে আগরতলা শহরের বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা, ক্লাব এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বাড়িঘরে গণপতি আরাধনা করা হয়। ব্যাপক জাঁকজমকভাবে গণেশ চতুর্থীর আয়োজন করে থাকে শহরের বিভিন্ন ক্লাব ও সামাজিক সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের পুজো। কিন্তু গণেশ চতুর্থী যে দিন দিন দুর্গাপূজাকে টক্কর দেবে সেটা প্রশাসনের অভিজ্ঞতা চরম অভাব। যা প্রত্যক্ষ করাই গেল বুধবার থেকে। শহরের মধ্যে সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথেই জনঢল নামছে। দর্শনার্থীদের ভিড় বিভিন্ন মণ্ডপ প্রাঙ্গনে।
গাড়ি বাইক নিয়ে শহরে বের হয় দর্শনার্থীরা। ৯ থেকে ৯০ সকলের মধ্যেই ছিল উৎসবের আনন্দ। নাকা বন্দী হয়ে পড়ছে শহরের মূল সড়ক গুলি। বিশেষ করে বিভিন্ন মণ্ডপ প্রাঙ্গনে প্রসাদের আয়োজন করা দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। মুখ থুবড়ে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত শহরের ট্রাফিক থাকলেও যানজট নিয়ন্ত্রণে আনতে পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ট্রাফিক কর্মীরা। রাজধানীর উত্তরগেট থেকে ওরিয়েন্ট চৌমুহনী, জ্যাকসন গেট, আর এম এস চৌমুহনী, বিদুরকর্তা চৌমুহনী, রামনগর রোড সহ বিভিন্ন সড়ক ছিল ঠাসা ভিড়।
বিভিন্ন রাস্তায় আটকে পড়ে অ্যাম্বুলেন্স এবং শববাহী গাড়ি। রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়ার মত অবস্থা ছিল না পথচারীদের। মাত্র ৫০০ মিটার এগোতে কারোর কারোর সময় লেগেছে পায় ঘন্টাখানেক। যারা রাতের বেলা কাজ থেকে বাড়ি ফিরেছেন, তাদের হিমশিম খেতে হয়। তবে এই ধরনের ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হওয়াটা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। উৎসব মানেই আনন্দ। আর আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেওয়া রাজ্যের সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে। কিন্তু ট্রাফিক প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়ে আঙ্গুল উঠেছে। কারণ শহরে গত কয়েক বছরে গণেশ পূজার সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। অপরদিকে শহরে চলছে স্মার্ট সিটির কাজকর্ম। জেলা প্রশাসনের আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। প্রয়োজনে কিছু রাস্তা নো এন্টি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স এবং শববাহী গাড়ি সহ রাতের বেলা কাজ সেরে যারা বাড়ি ফিরে তাদের জন্যই কিছু রাস্তা নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। নাহলে এই ধরনের সমস্যা গণেশ পূজার বাকি দিনগুলিতেও চলবে।

