স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ জুলাই : যারা অখন্ড ভারত চায় না, ভ্রষ্টাচারে ডুবেছিল, তারা বারবারই ভারতীয় জনতা পার্টিকে কালিমা লিপ্ত করতে চেয়েছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি আসনে বসিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে একজন জনজাতি মহিলাকে সর্বোচ্চ আসনে বসানো যায়।
কারণ ভারতীয় জনতা পার্টি মহিলাদের সম্মান দিতে জানে। দেশের প্রথম জনজাতি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অভিনন্দন জানিয়ে জনজাতিদের উদ্যোগে মাতঙ্গিনী-প্রীতিলতা হলে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন জনজাতি কল্যাণ মন্ত্রী রামপদ জমাতিয়া। তিনি আরো বলেন, সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচনে চারটি আসনের মধ্যে দুটি আসনেই মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বী দিয়েছিল। তারা দুজনেই এখন রাজ্যের বিধায়াকা। সরকারের মূল উদ্দেশ্য হলো বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও। যাতে মহিলারা আর্থিক দিকে এবং শিক্ষা দিকে শক্তিশালী হতে পারে। এমনকি রাজ্যের ১২ জন মন্ত্রীর মধ্যে পাঁচজন মন্ত্রী জনজাতি অংশে। কিন্তু চার ভাগে একবার যেহেতু জনজাতি রয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে, তাই জনজাতি মন্ত্রী চারজন হওয়ার কথা। কিন্তু সরকার পাঁচজন জনজাতি মন্ত্রী করে দেখিয়েছে। অর্থাৎ ভারতীয় জনতা পার্টি নারী এবং জনজাতিদের সর্বোচ্চ সম্মান দিতে জানে বলে জানান তিনি। আগামী দিনে দ্রৌপদী মুর্মুর কর্মজীবনে ভারতবর্ষ আরও এগিয়ে যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। সবকা সাথ সবকা বিকাশের মন্ত্র অক্ষুন্ন থাকবে। দলকে অনেকেই বদনাম করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এই জয়ের মাধ্যমে তাদের যোগ্য জবাব দেওয়া গেছে বলে জানান তিনি। দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন প্রথম জনজাতি মহিলা দ্রৌপদী মুর্মু। বিরোধী দলের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে রাইসিনা হিলসের মসনদে বসেন তিনি। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র সহ সভানেত্রী পাতাল কন্যা জমাতিয়া, রাজ্য সাধারন সম্পাদক টিঙ্কু রায়, জনজাতি মোর্চার নেতৃত্ব সহ বিজেপি-র কার্যকর্তারা।