স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ জুলাই : দেশ এবং সমাজকে টুকরো টুকরো করে দিতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি সরকার দেশে মানুষের পেটে লাথি মেরেছে, মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে। বিজেপি’কে শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে কংগ্রেস প্রস্তুত হয়েছে।
আগামী ৯ আগস্ট থেকে বিজেপি ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু করা হবে। জিরানিয়া থেকে রানির বাজার পর্যন্ত এক পদযাত্রা সংগঠিত করা হবে। এদিন কংগ্রেস জিরানিয়া, মোহনপুর এবং বিশালগড় অভিযান করবে। পরবর্তী সময়ে রাজ্যে অন্যান্য মহকুমায় এই আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এর জন্য বিজেপি যদি কোন সন্ত্রাসের প্রচেষ্টা করে তাহলে কোন লাভ হবে না। কংগ্রেস সন্ত্রাসের ভয় পায় না। হাজার হাজার কংগ্রেস কর্মী সমর্থক জনগণের স্বার্থে এই ভারত জুড়ে কর্মসূচি সারা দেশের মতো ত্রিপুরা রাজ্য সংঘটিত করবে। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে ইডি -র জিজ্ঞাসাবাদে তীব্র বিরোধিতা করে সদর জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে শুক্রবার
রাজধানীর পোস্ট অফিস চৌমুনিতে বিক্ষোভ স্থল থেকে এমনটাই জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা। তিনি বলেন, কংগ্রেস বিগত দিনেও বামফ্রন্টের সন্ত্রাস এবং উগ্রপন্থী সমস্যা সমাধান করতে লড়াই করে শান্তি পরিবেশ নিয়ে এসেছিল। বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়ে গেছে। দলের বিধায়ক অরুণচন্দ্র ভৌমিক মন্ত্রী রতনলাল নাথের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন। এতে স্পষ্ট হয়ে গেছে দল তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে শুরু হতে চলেছে। আজ যতক্ষণ পর্যন্ত না বিজেপিকে উৎখাত করা যাবে ততক্ষণ লড়াই করতে কংগ্রেস ময়দানে থাকবে। তিনি আরো বলেন, এদিন বিক্ষোভ কর্মসূচি মূল উদ্দেশ্য হলো কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর উপর থেকে বিনা সত্ত্বে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শুক্রবার সর্বভারতীয় কংগ্রেসের নির্দেশে প্রদেশ কংগ্রেসও প্রদেশ কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে জানান তিনি। এদিন কংগ্রেসের বিক্ষোভ স্থলে উপস্থিত ছিলেন সদর জেলা কংগ্রেস সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।