স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ ফেব্রুয়ারি। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ধ্বংস হওয়ার পথে রয়েছে স্পেসএক্সের স্টারলিংক প্রকল্পের ৪০টি স্যাটেলাইট। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের মুখে কার্যক্ষমতা হারিয়েছে এগুলো।
সম্প্রতি স্টারলিংক প্রকল্পের অংশ হিসেবে ফ্যালকন ৯ রকেটে আরো ৪৯টি ছোট ছোট স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছিল স্পেসএক্স। ২০১৮ সালের পর থেকে এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে দুই হাজারেরও বেশি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স। পৃথিবীর সব প্রান্তে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়াই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট বলছে, নতুন স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে পাঠানোর পরপরই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আছড়ে পড়ে সূর্য থেকে আসা ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রকে প্রভাবিত করতে সক্ষম ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়গুলো; এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পরে স্যাটেলাইট। ঝড়ে নিজ কক্ষপথ থেকে সরেও যেতে পারে স্যাটেলাইটগুলো।
মহাকাশে পৌছাঁনোর পর ওই ৪০টি স্যাটেলাইটের ভাগ্যেও সম্ভবত একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্পেসএক্স। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়টি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আছড়ে পড়ার সময় স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে বায়ুমণ্ডলের বিপরীতমুখী ঘর্ষণের তীব্রতা বেড়ে যায়। দ্রুত স্যাটেলাইটগুলো ‘সেইফ-মোড’ এ নিয়ে বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে বিপরীতমুখী ঘর্ষণের তীব্রতা কমানোর চেষ্টা করেছিল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।তবে, ঝড় শেষে প্রতিষ্ঠানটির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ বলছে, ‘সেইফ-মোড’ থেকে আর বেরিয়ে আসেনি ওই ৪০টি স্যাটেলাইট। ফলে পরিকল্পিত কক্ষপথেও পৌঁছাতে পারবে না স্যাটেলাইটগুলো। স্পেসএক্স বলছে, এই পরিস্থিতিতে আবার পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে দিকে পড়তে থাকবে স্যাটেলাইটগুলো। ফেরার পথেই বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে ঘর্ষণের ফলে এবং সেটি থেকে সৃষ্ট তাপে বায়ুমণ্ডলেই ধ্বংস হয়ে যাবে স্যাটেলাইটগুলো। ইতোমধ্যেই কয়েকটি স্যাটেলাইট ধ্বংস হয়ে গেছে বলে আশঙ্কা করছে প্রতিষ্ঠানটি।অন্যদিকে মহাকাশে স্পেসএক্সের ক্রমবর্ধমান স্যাটেলাইটের সংখ্যা নিয়ে শঙ্কিত মহাকাশ গবেষকরা। জানুয়ারি মাসেই ‘স্ভিকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি’র জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এক গবেষণা প্রতিবেদনে জানান, টেলিস্কোপ মাধ্যমে তোলা মহাকাশের ছবিগুলোতে ক্রমশ দাগের সংখ্যা বাড়ছে স্টারলিংক প্রকল্পের স্যাটেলাইটগুলোর কারণে।