স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৬ অক্টোবর: চিলির মাঠ থেকে ২-১ গোলে জিতে আসার পর ব্রাসিলিয়ায় পেরুকে উড়িয়ে দিয়েছে ব্রাজিল। বুধবার সকালে একপেশে ম্যাচে তারা জিতেছে ৪-০ গোলে। এতে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।এই দুই ম্যাচের আগে সবশেষ পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছিল সেলেসাওরা। একেকটি ব্যর্থতার পর শুধু ধৈর্য ধরার বলছিলেন দরিভাল। নতুন ফুটবলারদের নিয়ে দল গোছাতে বারবার সময়ও চেয়েছিলেন তিনি।
সেই প্রক্রিয়ায় এবার টানা দুই ম্যাচ জিতল ব্রাজিল। পেরুর বিপক্ষে সফল স্পট কিকে রাফিনিয়ার দুই গোলের পাশাপাশি একবার করে জাল কাঁপান আন্দ্রেয়াস পেরেইরা ও লুইস এইহিক। ঘরের মাঠে ম্যাচজুড়ে একছত্র দাপটই দেখায় দরিভালের দল।চমৎকার এই জয়ের পরও অবশ্য পুরোপুরি তৃপ্ত নন ব্রাজিল কোচ। তার মতে, এখনও অনেক কাজ বাকি। তবে পেরুকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে দেখা মিলল উচ্ছ্বসিত দরিভালের।
“আমি খুশি। কার,ণ যা কিছু নিয়ে কাজ করেছি ও প্রস্তুতি নিয়েছি, তার সবগুলোই আমরা মাঠে করার চেষ্টা করেছি। আমাদের বুঝতে হবে, এই দলটি এখনও গড়ে ওঠার পথে এবং অনেক সমন্বয় প্রয়োজন। টুর্নামেন্ট (বিশ্বকাপ বাছাই) যত এগোবে, দলের পারফরম্যান্স ওঠা-নামা করতে পারে। এটিই বাস্তবতা। আবার পেরুর চেয়ে ভালো ম্যাচও আমরা খেলতে পারি।”
ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করলেও প্রথম গোলের জন্য ৩৮ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ব্রাজিলকে। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন রাফিনিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি পেনাল্টি পেয়ে ব্যবধান বাড়ান বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।এরপর চার মিনিটের মধ্যে স্কোরশিটে নাম তোলেন দুই বদলি খেলোয়াড় পেরেইরা ও এইহিক। সব মিলিয়ে গোলের জন্য ১৮টি শট করে ব্রাজিল ফরোয়ার্ড। এর মধ্যে লক্ষ্যে থাকে ৮টি। মাঠে গোলের জন্য মরিয়া ফুটবলারদের দেখে বেশ খুশি ব্রাজিল কোচ।
“বেশিরভাগ ম্যাচে আমরা রক্ষণ ধরে রেখেছি। তীব্র আক্রমণের অভাবে ভুগেছি, যেটা আমরা এখানে মানে গারিঞ্চায় দেখলাম। আগে আমরা বলের নিয়ন্ত্রণ বেশি রাখতে চাইতাম। এখন আরও বেশি আক্রমণ করা নিয়ে কাজ করেছি। এটি আমাদের গভীরতা বাড়ায়। এটিই সম্ভবত এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় পাওয়া।”বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত দশ ম্যাচের পাঁচটি জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে ব্রাজিল। আগামী মাসের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ভেনেজুয়েলা ও উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে তারা।