স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ সেপ্টেম্বর: লা লিগায় রোববার আতলেতিকোর মাঠে ৬৪তম মিনিটে এদর মিলিতাও গোল করে এগিয়ে নেন রেয়ালকে। সেই ব্যবধান ছিল ৯০ মিনিট শেষেও। কিন্তু যোগ করা আট মিনিটের পঞ্চম মিনিটে রেয়ালকে হতাশ করে সমতা ফেরায় আতলেতিকো।এই ম্যাচে জিততে পারলে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার একদম কাছে চলে যেতে পারত রেয়াল মাদ্রিদ। সেটি না পারার হতাশা তো আছেই। তবে আনচেলত্তিকে বেশি পোড়াচ্ছে শেষে গিয়ে পয়েন্ট হারানো“জয়ের এত কাছাকাছি গিয়ে এভাবে ড্র করাটা মেনে নেওয়া কঠিন। যদিও এরকম হতেই পারে। প্রতিপক্ষ তো খুবই শক্তিশালী ও খুবই মানসম্পন্ন।
তবে শেষ সময়ে তারা এরকম গোল করে ফেলল, এটিই খারাপ লাগছে। আমরা ম্যাচটি খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছি, খুব কাছে (জয়ের) পৌঁছে গিয়েছিলাম।”হতাশার মধ্যেও অবশ্য প্রাপ্তির ছবি দেখছেন রেয়াল কোচ। আতলেতিকোর মাঠে এই এক পয়েন্টকে সঙ্গী করেই আরও সামনে এগিয়ে যেতে চান তিনি।“আমি সবসময় ইতিবাচক কিছু ভাবতেই পছন্দ করি। প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে একটি পয়েন্ট আদায় করেছি আমরা এবং শীর্ষ দলের দিকে আরও এক পয়েন্ট এগিয়েছি। আমরা খুব ভালো অবস্থায় আছি, আশা শেষ হয়ে যায়নি এবং এখান থেকে একটি ড্র নিয়ে ফিরতে পারা মানে ভবিষ্যতের জন্য ভালো ইঙ্গিত।”
আট ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তিন পয়েন্ট বেশি নিয়ে সবার ওপরে তাদের চিরপ্রাতদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো।শেষের গোলটি ছাড়া গোটা ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত অধ্যায় দ্বিতীয়ার্ধে খেলা বন্ধ থাকা। মিলিতাওয়ের গোলের একটু পর রেয়ালের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়ার দিকে লাইটার, প্লাস্টিক বোতলসহ নানা বস্তু ছুড়ে মারা হয়। এতে খেলা বন্ধ থাকে মিনিট বিশেক।দর্শকদের উশৃঙ্খল আচরণের কারণে খেলা বন্ধ থাকায় রেয়ালের মোমেন্টাম নষ্ট হয়েছে কি না ও আতলেতিকো সুবিধা পেয়েছে কি না, এমন প্রশ্ন উঠল। আনচেলত্তি অবশ্য এটিকে বড় ব্যাপার মনে করছেন না।
“আমার মনে হয় না (আতলেতিকো লাভবান হয়েছে), দুই দলকেই সমানভাবে প্রভাবিত করেছে এটা। আমরা সবাই টানা খেলতে চেয়েছি। তবে খেলা থামানোর সিদ্ধান্তই ছিল সঠিক। রেফারি বলছিলেন যে, দুই দফায় লাইটার ছুড়ে মারা হয়েছে এবং আরেকবার ছুড়লে তিনি খেলা থামিয়ে দেবেন।”“আমার মনে হয়, রেফারি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। খেলা থামাতেই হতো। কিছু ব্যাপার ঠিকঠাক করা জরুরি ছিল এবং এরপর শুরু হয়েছে আবার। অবশ্যই আমাদের কারও এটা ভালো লাগেনি, সবাই খেলত চাচ্ছিলাম। কিন্তু রেফারি ভালো কাজ করেছেন।”