স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৪ জুলাই : মাত্র ২২ রানের জন্য লর্ডস টেস্ট হারল টিম ইন্ডিয়া। শেষের দিকে জশপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রবীন্দ্র জাদেজার লড়াইয়েও শেষরক্ষা হল না। অথচ ম্যাচের বেশিরভাগ সময় ভারতই নিয়ন্ত্রণ করেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৯২ রানে আটকে ফেলেছিল। তারপরও কাঙ্ক্ষিত জয় এল না। ভারতের লড়াই সত্ত্বেও ‘আফসোস’ শচীন তেণ্ডুলকর ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। সেই সঙ্গে ঘুরিয়ে প্রশ্নও তুলছেন সৌরভ। সেই লর্ডস, যেখানে ২৩ বছর আগে তিনি জার্সি খুলে উড়িয়েছিলেন। যা আজও ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে গর্বের। সেটা ঘটেছিল ২০০২ সালের ১৩ জুলাই। অর্থাৎ, এই টেস্ট চলাকালীনই সেই ঘটনার বর্ষপূর্তি হয়েছে। সেখানে ব্যাটিং বিপর্যয়ে হতাশার হারের সম্মুখীন হল ভারত।
শচীন এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘এত কাছে এসেও এত দূরে! জাদেজা, বুমরাহ ও সিরাজ শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। টিম ইন্ডিয়া, ভালো চেষ্টা করেছ। চাপের মুখে ইংল্যান্ড দল ভালো খেলেছে। যে ফলটা আশা করেছিল, সেটা ছিনিয়ে নিতে পেরেছে। লড়াকু জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাই।’
অন্যদিকে সৌরভ লিখেছেন, ‘কী অসাধারণ একটা টেস্ট ম্যাচ। কিন্তু লর্ডস থেকে হতাশ হয়েই ফিরল ভারত। তিনটে টেস্টেই ভারতীয় দল ভালো খেলেছে। কিন্তু এখন ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে। এই টেস্টটা ভারত জিততে পারত। জাদেজা লড়াই করে দেখিয়ে দিয়েছে ১৯৩ রানের লক্ষ্য একেবারেই বড় ছিল না।’
শচীন কোনও প্রশ্ন না তুললেও সৌরভ কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে দিলেন। লর্ডসে শেষ ইনিংসের চাপ ভালোমতোই টের পেল ভারত। শুভমান গিল থেকে ঋষভ পন্থ, সকলেই ব্যর্থ। সবচেয়ে দুরবস্থা করুণ নায়ারের। ‘প্রিয়’ ক্রিকেটের থেকে আর বোধহয় তিনি সুযোগ পাবেন না। অস্ট্রেলিয়া সফরে একটা সেঞ্চুরির পর নীতীশ কুমার রেড্ডিও রানের মুখ দেখেননি। যে দলটা আগের দুটি টেস্টে প্রচুর রান করেছে, তারাই ব্যাটিং বিপর্যয়ের সামনে পড়বে, তা কেউই আন্দাজ করতে পারেনি। শুধু জাদেজা নন, বুমরাহ-সিরাজরা পর্যন্ত যেভাবে আর্চারদের সামলালেন, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট পিচে ভয় ধরানোর কিছু নেই। সেখানে ব্যাটিং যেভাবে ব্যর্থ হল, তাতে কিন্তু কোচ গৌতম গম্ভীরের সামনে এখন অনেক প্রশ্ন।