স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ আগস্ট: ইউএস ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডেই মঞ্চায়ন হয়েছে বড় এই অঘটনের। আলকারাসকে বৃহস্পতিবার ৬-১, ৭-৫, ৬-৪ গেমে হারিয়ে দিয়েছেন অখ্যাত ফন দে জনসহুপ।এই বছর ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডন জিতেছেন আলকারাস। এই ম্যাচের আগে গ্র্যান্ড স্ল্যামে জিতেছেন তিনি টানা ১৫ ম্যাচ। কিন্তু সময়ের সেরা খেলোয়াড় মনে করা হয় যাকে, সেই ২১ বছর বয়সী তারকা এখানে খেই হারালেন বাজেভাবে।চমকপ্রদ পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া ফন দে জনসহুপ টেনিসের শীর্ষ পর্যায়ে খেলছেন অনেক দিন ধরেই।
গ্র্যান্ড স্ল্যামে সেরা সাফল্য তার এই ইউএস ওপেনেই। ২০২১ আসরে পৌঁছতে পেরেছিলেন কোয়ার্টার-ফাইনালে। পরের বছর অস্ট্রেলিয়ান ও ফ্রেঞ্চ ওপেনে তৃতীয় রাউন্ড পর্যন্ত যেতে পারেন তিনি, উইম্বলডনে পা রাখেন চতুর্থ রাউন্ডে। এই আসরগুলোয় তার সেরা সাফল্য এই পর্যন্তই। ডাবলসে কখনও দ্বিতীয় রাউন্ড উতরাতে পারেননি কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামেই। ২৮ বছর বয়সী ডাচ খেলোয়াড় এবার আলকারাসকে উড়িয়ে আলোড়ন তুললেন টেনিসবিশ্বে।
তার এই জয়ে ২৮ বছর পর কোনো ডাচ খেলোয়াড় গ্র্যান্ড স্ল্যামে হারাতে পারলেন শীর্ষ তিনে থাকা কাউকে। সবশেষ ১৯৯৬ সালের উইম্বলডনে কিংবদন্তি পিট সাম্প্রাসকে হারিয়েছিলেন রিশার্দ ক্রাইচেক। সেবার শিরোপাও জিতেছিলেন তিনি। এখনও পর্যন্ত গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী একমাত্র ডাক খেলোয়াড় ক্রাইচেকই।আলকারাস প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের স্বাদ পান এই ইউএস ওপেনেই ২০২২ সালে।এরপর থেকে আর কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের কোয়ার্টার ফাইনালের আগে তিনি বাদ পড়েননি। জিতেছেন আরও তিনটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম। এবার এই হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর কাঠগড়ায় তুললেন তিনি নিজেকেই।“আমার মনে হয়, ম্যাচজু্ড়েই আমার খেলার মান একইরকম ছিল। মাচ জেতার মতো যথেষ্ট ছিল না তা বা ম্যাচে ফিরে আসার মতো কিংবা ফিরে আসার চেষ্টা করার মতো তা ছিল না।”
“তো, আর কী বলতে পারি! অনুভব করছিলাম, ভালোভাবে শট খেলতে পারছি না। অনেক অনেক ভুল করেছি। যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি বা মনে করেছি যে, ফিররতে পারি এখন, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে।”কিছুদিন আগে প্যারিস অলিম্পিকসের ফাইনালে হেরে রুপা পাওয়া থেকে শুরু করে সময়টা একটু খারাপই যাচ্ছে আলকারাসের। ইউএস ওপেনের প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট ধরা হয় যেটিকে, সেই সিনসিনাটি ওপেনেও তিনি বাদ পড়েছিলেন দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই।ক্লান্তির কাছেই হার মানতে হচ্ছে বলে এখন মনে করছেন আলকারাস। যদিও এটিকে অজুহাত হিসেবে দেখছেন না তিনি।“যতটা প্রাণশক্তি নিয়ে এখানে আসব ভেবেছিলাম, তা পারিনি। তবে এর মানে এই নয় যে, এটিকে অজুহাত হিসেবে দেখাব।”“হয়তো আমি এমন একজন মানুষ, এরকম বড় বা গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের আগে যার একটু বেশি বিশ্রাম বা বিরতি প্রয়োজন। এটা নিয়ে তাই আমাকে ভাবতে হবে ও এখান থেকে শিখতে হবে।”