স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩০ আগস্ট: লা লিগায় বৃহস্পতিবার লাস পালমাসের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে রেয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরুর দিকে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ভিনিসিউস জুনিয়রের পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরাতে পারে লিগ চ্যাম্পিয়নরা।উয়েফা সুপার কাপ জিতে মৌসুমের শুরুটা প্রত্যাশিতভাবেই করেছিল রেয়াল। তবে লা লিগার শুরুতে দেখা যাচ্ছে না সেই ধার। প্রথম ম্যাচে রেয়াল মায়োর্কার বিপক্ষে ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে ড্র করে তারা।
পরের ম্যাচে রায়ো ভাইয়েকানোর বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতলেও দুটি গোল হয় একদম শেষ সময়ে। এরপর লাস পালমাসের বিপক্ষে আবার যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স।একটি পয়েন্ট যে তারা এই ম্যাচ থেকে পেয়েছে, এটিও কম নয়। গোটা ম্যাচে একদমই খাপছাড়া মনে হয়েছে গোটা দলকে। মাঝমাঠ ছিল অগোছালো, আক্রমণে ছিল না সমন্বয়। প্রতিপক্ষের জন্য তেমন বিপজ্জনক হতে পারেননি ভিনিসিউস, এমবাপেরা।
ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি অকপটে মেনে নিলেন তার দলের ব্যর্থতা। দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর তাগিদও ফুটে উঠল গত মৌসুমে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী কোচের কণ্ঠে।“দলের সমন্বয় ভালো ছিল না। বল পায়ে দ্রুত বিচরণ করতে পারিনি আমরা। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়াও ছিল কঠিন। মায়োর্কার বিপক্ষে (ড্র হওয়া ম্যাচে) যা কিছু আমরা করেছি, সেখান থেকে কোনো উন্নতি আমার চোখে পড়েনি। দ্রুত উন্নতি করতে হবে আমাদের।”
“এটা পরিষ্কার যে, গত মৌসুমের ছন্দ খুঁজে পেতে এখনও ধুঁকছি আমরা। তবে কোনো অজুহাত খোঁজা চলবে না আমাদের। সূচি খুব আঁটসাঁট এবং খুব দ্রুত আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। রোববারই আরেকটি ম্যাচ আছে আমাদের।”শুধু ফুটবলারদের কাঠগড়ায় তুলেই দায় সারছেন না আনচেলত্তি। নিজের দায়ের কথাও বললেন তিনি। সবাই মিলেই ফিরে পেতে চান নিজেদের।“আমি যেভাবে দেখতে চাই, ফুটবলারদের কাছে সেটা ফুটিয়ে তুলতে হলে আরও স্বচ্ছ কৌশল বেছে নিতে হবে আমাকে। আমাদের ভাবনার চেয়েও বেশি খেসারত দিতে হচ্ছে। যে পথ ধরে আমরা এগোতে চাই, সেটির জন্য আরও কাজ করতে হবে এবং মানোযোগী হতে হবে।”
ভিনিউস জুনিয়র মাঝেমধ্যে জ্বলে উঠলও নিজের সেরা চেহারার ধারেকাছে নেই এখনও। লাস পালমাসের বিপক্ষে তার খেলায় একাই গোল করার প্রবণতা চোখ এড়ানোর কথা নয় কারও। এমবাপে তো এখনও নিজের ছায়া হয়ে আছেন। রেয়ালের হয়ে অভিষেকে উয়েফা সুপার কাপের গোল করলেও লিগে তার পারফরম্যান্স হতশ্রী।আগের ম্যাচে একগাদা সুযোগ হাতছাড়া করেছেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড। লাস পালমাসের বিপক্ষে পুরো ৯০ মিনিট খেলে গোলে ৯টি শট নিয়েছেন, এর দুটি ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে বল পাঠাতে পারেননি। লিগের তিন ম্যাচে গোল অধরা রইল তার।
তবে আক্রমণভাগের ফুটবলারদের দিকে আঙুল তুলছেন না আনচেলত্তি। কোচের মতে, গোটা দল মিলেই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করতে হবে।“আমাদের খেলা ছিল ধীরগতির। বিচরণে খুব গতিময় হতে পারিনি আমরা এবং স্ট্রাইকাররা যখন বল পাচ্ছে, প্রতিপক্ষ দল ততক্ষণে কাছাকাছি চলে আসছে। যখন বল আমাদের কাছে নেই, তখন আমরা অনেক বেশি ফাঁকা জায়গা রেখে দিচ্ছি।”“আমার মনে হয় না এটা মানসিকতার সমস্যা, কারণ দল ট্রেনিং করছে ভালোভাবে। ব্যাপারটা হলো, কখনও কখনও মাঠে ভালো খেলার সেরা পথটা খুঁজে নিতে সমস্যা হয়। সব মিলিয়ে আমাদের ভালো যাচ্ছে না এবং দ্রুতই সমাধান বের করতে হবে।”