ক্রীড়া প্রতিনিধি ।। ভালো খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিল্লি পৌঁছলো কে ভি পবন-রা। দেশের রাজধানীতে পৌঁছেই কোয়ারান্টাইনে চলে গেলো গোটা দল। দিল্লিতেই অনুষ্ঠিত হবে রঞ্জি ট্রফির ‘এফ’ গ্রুপের লীগ পর্যায়ের খেলা। ওই গ্রুপে ত্রিপুরা সহ রয়েছে হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব।
ফলে লড়াই হবে জমজমাট। গ্রুপের সবকটি দলই যথেষ্ঠ শক্তিশালী। তা ভালো করেই জানেন ত্রিপুরার ক্রিকেটাররা। তারপরও বিপক্ষ দলকে জোড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে মরিয়া রাজ্য দলের প্রতিটি ক্রিকেটার। এদিন দুপুরের বিমানে দেশের রাজধানীতে যান ত্রিপুরার ক্রিকেটাররা। রাজ্য ছাড়ার আগে ত্রিপুরা দলের প্রতিটি ক্রিকেটারকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী লক্ষ্য করা গেছে। ভালো ফলাফল করা নিয়ে প্রতিটি ক্রিকেটার যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আসরে ত্রিপুরা প্রথম মাঠে নামবে ১৭ ফেব্রুয়ারি। ১৭-২০ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানা, ২৪-২৭ ফেব্রুয়ারি হিমাচল প্রদেশ এবং ৩-৬ মার্চ ত্রিপুরা শেষ ম্যাচ খেলবে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোয়ারান্টাইনে থাকবে ক্রিকেটাররা। ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি হরিয়ানা ম্যাচের জন্য শেষ প্রস্তুতি সেরে নেবেন ত্রিপুরার ক্রিকেটাররা।
এদিন রাজ্য ছাড়ার আগে ত্রিপুরা দলের সহ অধিনায়ক রজত দে বলেন, “যে প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি আশাকরি ফলাফল ভালো হবে। আশাকরি আমরা হতাশ করবো না। আমরা যদি নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারি তাহলেই হবে। দরকার দেশের রাজধানীতে নিজেদের ঠিক করে প্রয়োগ করা”। কোয়ারান্টাইনে থাকলেও হোটেলে রুমেই কন্ডিশনিং করবেন ত্রিপুরার ক্রিকেটাররা। নিজেদের ফিট রাখার জন্য। ত্রিপুরা দল: কে ভি পবন (অধিনায়ক), রাহিল শাহ, সুমিত গোহেল, রজত দে (সহ অধিনায়ক), বিক্রম কুমার দাস, বিশাল ঘোষ, সম্রাট সিনহা, মণিশঙ্কর মুড়াসিং, শুভম ঘোষ, অমিত আলি, অজয় সরকার, সৌরভ দাস, চিরঞ্জীৎ পাল, সঞ্জয় মজুমদার, রাণা দত্ত, শঙ্কর পাল, আশিষ কুমার যাদব, নিরুপম সেন, নিরুপম সেন চৌধুরি এবং দীপায়ন দেববর্মা। কোচ: সমীর দিঘে, সহকারি কোচ: ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, কিশোর মুহুরি, ফিজিও পারভেজ ভাটি, ট্রেণার; প্রদীপ গৌড়া, ম্যাসার: অজয় প্যাটেল, সাইড আর্মার: এ জয়ন্ত অশোক, ম্যানেজার: সত্যেন্দ্র নাথ।