Saturday, July 27, 2024
বাড়িখেলাশূন্য রানে ক্ষুব্ধ হয়ে ফেরার ম্যাচেই ‘সেঞ্চুরির’ স্বাদ পেলেন রোহিত

শূন্য রানে ক্ষুব্ধ হয়ে ফেরার ম্যাচেই ‘সেঞ্চুরির’ স্বাদ পেলেন রোহিত

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ জানুয়ারি: তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারায় ভারত। এই সংস্করণে রোহিতের শততম জয় এটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে জয়ের সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া প্রথম ক্রিকেটার তিনিই।জয়ের অভিজ্ঞতায় তার কাছাকাছি আপাতত নেই কেউ। ৮৬টি জয় নিয়ে রোহিতের পরে আছেন শোয়েব মালিক। অবসর না নিলেও যার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি বলেই ধরে নেওয়া যায়। ৭৩ জয় নিয়ে তালিকার তিনে ভিরাট কোহলি। ৭০টি করে জয় পেয়েছেন যৌথভাবে মোহাম্মদ হাফিজ ও মোহাম্মদ নাবি।

সবচেয়ে বেশি ১৪৯ ম্যাচ অবশ্য রোহিতই খেলেছেন। পরের ম্যাচে ১৫০ ম্যাচ পূরণ হবে তার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে। শোয়েব মালিকের ৮৬ জয় এসেছে ১২৪ ম্যাচে, কোহলির ৭৩ জয় ১১৫ ম্যাচ খেলে।২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই ম্যাচ দিয়ে রোহিতের মতো ফেরার কথা ছিল কোহলিরও। তবে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ম্যাচের আগে সরে যান তিনি। রোহিত ফেরেন অধিনায়ক হয়েই।মোহালিতে এ দিন ১৫৯ রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলটি ঠেকান রোহিত। পরের বলে একটু ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে অফ ড্রাইভ খেলেই রান নিতে ছুটতে থাকেন তিনি। দৌড়ে যখন নন স্ট্রাইক প্রান্তে পৌঁছে যান প্রায়, তখন হতভম্ব হয়ে দেখেন, সেই প্রান্তের ব্যাটসম্যান শুবমান গিল সেখানেই আছেন! সঙ্গীর দিকে না তাকিয়ে গিল দেখছিলেন ফিল্ডারকে। ভুল বোঝাবুঝি হয়ে যায় তাতেই। রোহিতের তখন আর ক্রিজে ফেরার উপায় নেই।রান আউট হয়ে গিলের ওপর বেশ চটে যান রোহিত। বার দুয়েক হাত ইশারায় বুঝিয়ে দেন তার অসন্তুষ্টি, থেমে ছিল না তার মুখও। মাঠ ছাড়েন তিনি গজরাতে গজরাতে।

ভারতকে অবশ্য সেজন্য বড় মূল্য চুকাতে হয়নি। ৫ চারে ১২ বলে ২৩ রান করেন গিল, তিনে নেমে তিলাক ভার্মা করেন ২৬। এরপর শিভাম দুবের ৪০ বলে অপরাজিত ৬০ আর জিতেশ শার্মার ২০ বলে ৩১ রানের ইনিংসে ১৫ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় ভারত।ম্যাচ চলার সময় বেশ কবারই টিভি ক্যামেরায় ধরা হয় ড্রেসিং রুমে থাকা রোহিতকে। সেখানে বেশ হাস্যোজ্জ্বল ও শান্তই দেখা যায় তাকে। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিক প্রশ্ন করেন, “আউট হওয়ার পর আপনাকে এতটা রেগে যেতে আগে কখনও দেখিনি…।” মুখে চওড়া হাসি নিয়েই উত্তর দেন রোহিত।“সত্যি বলতে, এসব মাঠে হয়েই থাকে। এরকম কিছু হলে হতাশ লাগেই। কারণ সবাই চায় টিকে থাকতে এবং দলের জন্য রান করতে। তবে সবসময় সবকিছু পক্ষে আসে না। এটাও বুঝতে হয়। দিনশেষে আমরা ম্যাচ জিতেছি, এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”“আমি আউট হওয়ার পর চাইছিলাম গিল যেন টিকে থাকে ও বড় ইনিংস খেলে। সে ভালো খেলছিল, কিন্তু আউট হয়ে যায়। তবে সব মিলিয়ে এই ম্যাচ থেকে ইতিবাচক অনেক প্রাপ্তি আছে।”সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ রোববার, ইন্দোরে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য