স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ জানুয়ারি: উভয় ক্লাবই বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়ে নিশ্চিত করে বিষয়টি। চুক্তিতে তাকে কিনে নেওয়ার কোনো পথ খোলা রাখা হয়নি।২০২১ সালের জুলাইয়ে ডর্টমুন্ড থেকে সাত কোটি ৩০ লাখ পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে ইউনাইটেডে নাম লেখান স্যানচো। তবে ধারাবাহিকতার অভাবে কখনই দলে সেভাবে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি।কোচ এরিক টেন হাগের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পর গত ২৬ অগাস্ট থেকে ইউনাইটেডের হয়ে কোনো ম্যাচ স্যানচো খেলেননি। সেপ্টেম্বর থেকে অনুশীলন করেছেন মূল দলের বাইরে থেকে।
ডর্টমুন্ডে ফিরে উচ্ছ্বসিত স্যানচো। বুন্ডেসলিগার দলটির হয়ে ফের মাঠে নামতে তর সইছে না তার।”আজ যখন ড্রেসিং রুমে এলাম, তখন মনে হচ্ছিল ‘বাড়িতে এসেছি’। এই ক্লাবের সবকিছুই আমি জানি, সবসময় এখানকার ভক্তদের সঙ্গে আমি খুব ঘনিষ্ঠ ছিলাম এবং ক্লাবের দায়িত্বে যারা আছেন, কখনোই তাদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ ছিন্ন হয়নি।””আমার সতীর্থদের আবার দেখতে, মাঠে নামতে, হাসিমুখে ফুটবল খেলতে, গোলের জোগান দিতে, গোল করতে এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জনে দলকে সহায়তা করতে আমার তর সইছে না।”এর আগে ২০১৭ থেকে চার মৌসুম ডর্টমুন্ডে ছিলেন স্যানচো। ওই সময়টায় ১৩৭ ম্যাচে তিনি গোল করেন ৫০টি।
তবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আসার পর থেকে ফর্ম ও ধারাবাহিতার জন্য সংগ্রাম করতে দেখা গেছে তাকে। ইউনাইটেডের হয়ে ৮২ ম্যাচে গোল করতে পেরেছেন স্রেফ ১২টি।গত সেপ্টেম্বরে আর্সেনালের বিপক্ষে হারের ম্যাচের স্কোয়াডেই ছিলেন না তিনি। মূলত ওই ম্যাচে বাদ পড়ার পর থেকেই কোচ টেন হাগের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয় স্যানচোর। ওই সময়ে ডাচ কোচ বলেছিলেন, ‘অনুশীলনে ভালো না করায়’ স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে।কোচের মন্তব্য উড়িয়ে স্যানচো বলেছিলেন, তাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হচ্ছে। এই মন্তব্যের জন্য পরে ক্ষমা চাইতেও অস্বীকার করেন তিনি।চলতি মৌসুমে ১৬ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে বুন্ডেসলিগার টেবিলে পঞ্চম স্থানে আছে ডর্টমুন্ড। শীতকালীন বিরতির পর আগামী শনিবার ডার্মস্টাডের মুখোমুখি হবে তারা।