স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ ডিসেম্বর : এবার আর আমবাসা জয় হলো না জেআরসি-র। ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ধলাই একাদশ জয় হাসিল করে নিয়েছে। প্রথমবারের মতো আগরতলার সাংবাদিক ক্রিকেটারদের দল জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাবকে হারাতে পেরে আলাদা একটা আনন্দের জোয়ার আমবাসা প্রশাসন জুড়ে। হাট বারের দিনে দশমী ঘাট ক্রিকেট মাঠে এমনিতেও দর্শকের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। স্বাগতিক ডি.এম ধলাই একাদশ ২১ রানের ব্যবধানে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে। এর আগে লাগাতর চার বছরের খেলায় জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাব টানা জয় লাভ করে আসছিল। পেশাগত প্রচন্ড কর্মব্যস্ততার মাঝে ছুটির দিনে সবুজে ঘেরা আমবাসায় দশমীঘাট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত রোমাঞ্চকর প্রীতি ম্যাচটাই ছিল উপভোগ্যকর। জয় পরাজয় নিছক কাগজে-কলমে। প্রকৃতপক্ষে বিনোদনমূলক একদিনের শরীরচর্চা এবং সমাজকে একটা পজিটিভ বার্তা দেওয়াটাই এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয়। জেলাশাসক জয়সোয়াল মূলতঃ এ কথাটাই বলেন। টসে জিতে জেআরসি প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ডি.এম ধলাই একাদশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানালে তাঁরা ১১০ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয়। জবাবে জেআরসি ৮৮ রানে ইনিংস গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়। দুর্দান্ত ব্যাটিং এবং বোলিংয়ের সৌজন্যে ধলাই ডিএম টিমের রাজেস মিয়া ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন। বিশ্বজিৎ দেবনাথের চার উইকেট দখল এবং অরূপের ৪৬ রান সংগ্রহ একপ্রকার বিফলেই গেছে। জেআরসি-র পক্ষে অধিনায়ক অভিষেক দে, সহ-অধিনায়ক সুব্রত দেবনাথ, প্রসেনজিৎ সাহা, বাপন দাস, দিব্যেন্দু দে, বিষ্ণুপদ বণিক, মিল্টন ধর, কৃষানু দেববর্মা, মিঠুন দাস ব্যাটে-বলে লড়াকু মেজাজে খেললেও ডিএম এডমিন ধলাই একাদশের খোদ জেলাশাসক ড. সিদ্ধার্থ শিব জয়সোয়ালের বোলিং ও দক্ষ টিম পরিচালনার কাছে হার মানতে হয়েছে। খেলা শেষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে ডি.এম এন্ড কালেক্টর ধলাই ড. জয়সোয়াল এবং জার্নালিস্ট রিক্রিয়েশন ক্লাবের সভাপতি সুপ্রভাত দেবনাথ প্রমূখ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। সুষ্ঠুভাবে ম্যাচ পরিচালনায় দুই আম্পায়ার, স্কোরার এবং ধারাভাষ্যকার বিধান শর্মার ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। জেআরসি-র সেক্রেটারি তথা ক্যাপ্টেন অভিষেক দে, জেলা সমাহর্তা ড. জয়সোয়াল, স্থানীয় সাংবাদিক পরাশর বিশ্বাস সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং আগামী দিনেও এই ম্যাচ জারি থাকবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।