Sunday, June 1, 2025
বাড়িখেলা‘সর্বকালের সেরা দুই-তিন কোচের একজন গুয়ার্দিওলা’

‘সর্বকালের সেরা দুই-তিন কোচের একজন গুয়ার্দিওলা’

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ জুন: খেলোয়াড়ি জীবনে গুয়ার্দিওলার সঙ্গে দুই বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন পুয়োল। এরপর এই অধ্যায়ের ইতি টেনে গুয়ার্দিওলা যখন কোচ হিসেবে ফিরেছেন কাতালান ক্লাবটিতে, পুয়োল তখন দলের রক্ষণের স্তম্ভ। কোচ-খেলোয়াড় হিসেবেও তাদের জুটি ছিল সফল। গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে সফল বার্সেলোনা দলের অধিনায়কও ছিলেন পুয়োল।এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের আগে ইস্তানবুলে লরিয়াস স্পিরিট অব স্পোর্টস-কে পুয়োল বললেন, গুয়ার্দিওলার মধ্যে দারুণ এক কোচের উপাদান দেখতে পেরেছিলেন তিনি খেলোয়াড়ি জীবনেই।“তার সঙ্গে আমি দুই বছর খেলেছি এবং সত্যি বলতে, তখনই তার মধ্যে নেতৃত্বে গুণাবলি ফুটে উঠত সবকিছুতেই। যেভাবে সে কথা বলত, ক্লাবের প্রতি তার নিবেদন এবং তখনই বোঝা যেত, সে ভালো কোচ হতে পারে।”“আমার মতে, সে যদি সর্বকালের সেরা নাও হয়, নিশ্চিতভাবেই সেরা দুই-তিন কোচের একজন।” এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে ভিন্ন দুুটি ক্লাবের হয়ে ‘ট্রেবল’ জয়ের অনন্য কীর্তি গড়বেন গুয়ার্দিওলা।  

ইস্তানবুলে শনিবার ইন্টার মিলানের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ট্রফি জয়ের অভিযানে নামবে গুয়ার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। ফাইনাল জিততে পারলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ইউরোপের সেরা হতে পারবে ইংলিশ ক্লাবটি। গুয়ার্দিওলার জন্য অবশ্য এই সাফল্য নতুন নয়। বার্সেলোনার হয়ে দুবার চ্যম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বাদ তিনি পেয়েছেন।তার গোটা কোচিং ক্যারিয়ারই দারুণ সব সাফল্যে ঠাসা। স্পেনে বার্সেলোনাকে লা লিগায় হ্যাটট্রিক শিরোপা এনে দিয়েছেন তিনি, জার্মানিতে বুন্ডেসলিগায় টানা তিনবার জিতিয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখকে। এবার সেই হ্যাটট্রিক লিগ শিরোপা এনে দিয়েছেন ইংল্যান্ডে ম্যানচেস্টার সিটিকেও। ২০১৬ সালে তিনি কোচ হয়ে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর এই ক্লাব ইংলিশ ফুটবলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। সবশেষ ছয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জিতেছে তারা পাঁচটিতে।এছাড়াও ওই তিন ক্লাবের কোচ হিসেবে আরও গোটা বিশেক ট্রফি জয়ের কীর্তি আছে তার। এবার চ্যাম্পিয়নন্স লিগ জিততে পারলে ভিন্ন দুটি ক্লাবের হয়ে ‘ট্রেবল’ জয়ের অনন্য কীর্তি গড়বেন তিনি।

গুয়ার্দিওলা অন্যদের চেয়ে নিজেকে স্বতন্ত্র হিসেবে মেলে ধরেছেন অসাধারণ এক ট্যাকটিশয়ান হিসেবে। পুয়োল জানালেন, নব্বই দশকের শেষ ভাগে লুই ফন খালের কোচিংয়ে খেলার সময়ই নিজের এই দিকটি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছিলেন গুয়ার্দিওলা।“লুই ফন খাল যখন কোচ ছিলেন, যাকে আমি দারুণ পছন্দ করি, তখনও পেপ মাঝেমধ্যে ডিফেন্সে আমাদেরকে নির্দেশনা দিত নানা কিছু। কখনও তিন জনের রক্ষণভাগ, কখনও চার জনের রক্ষণে পরিণত করত ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে একটি ম্যাচের কথা স্পষ্ট মনে আছে আমার। আমি চমকে গিয়েছিলাম, সে খেলার সময়ই পরিকল্পনা করতে পারত যে কীভাবে সবচেয়ে ভালোভাবে রক্ষণ সামলানো যায়।”গুয়ার্দিওলার এই দিকটি অনেক সময় আড়ালেই থেকে যায় বলে মনে করেন পুয়োল। বার্সেলোনা, বায়ার্ন হয়ে এখন ম্যানচেস্টার সিটিতেও কোচ হিসেবে তার আগ্রাসী ফুটবল ও তার দলের গোলের তেষ্টাই সবার চোখে পড়ে বেশি। কিন্তু বার্সেলোনায় ৬টি লা লিগা ও ৩টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী ডিফেন্ডার পুয়োল বললেন, রক্ষণে দক্ষতা কোচ গুয়ার্দিওলার বড় বিশেষত্ব।

“এতটা আক্রমণাত্মক দলের ক্ষেত্রের ডিফেন্সে সতর্ক থাকা দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। এই জায়গায় গুয়ার্দিওলা সবসময়ই দুর্দান্ত। অনেকেই আসলে বেশি মনোযোগ দেয় তার কোচিংয়ের ধরনে দল হিসেবে খেলার দিকে। কিন্তু আমার মতে, তার দল মূল পার্থক্য গড়ে দেয় রক্ষণে, বল হারানোর পর তারা যেভাবে সাড়া দেয়।”ম্যানচেস্টার সিটির এই দলেও রক্ষণভাগ দারুণ। পাশাপাশি এই মৌসুমে আক্রমণে দারুণ এক অস্ত্র পেয়েছে তারা। সেই আর্লিং হলান্ডের ওপর ফাইনালেও ভরসা রাখবে দল। ডিফেন্ডার হিসেবে পুয়োল ভালো করেই জানেন, এই মানের একজন স্ট্রাইকারকে সামলানো কতটা কঠিন। ফাইনালে ইন্টারের ডিফেন্ডারদের জন্যও হলান্ড বড় চ্যালেঞ্জ হবেন বলে মনে করেন পুয়োল।“আমার মনে হয়, সে পরিপূর্ণ এক ফুটবলার, যে একটি যুগের পরিচায়ক হয়ে উঠতে পারে। বক্সের ভেতর সে দারুণ এক শিকারি। তাকে পছন্দ করি আমি। এতটা বিশালদেহী সে, তাকে সামলানো কঠিন এবং খুব ভালোভাবে তাকে বিশ্লেষণ করে দল হিসেবে খেলে তাকে আটকাতে হবে।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!