মুম্বই, ৬ জানুয়ারি (হি.স.): তিনি শুধু আক্রমনাত্মক ব্যাটসম্যান ছিলেন না, ছিলেন একজন এন্টারটেইনার। ক্রিকেট মাঠে গান গাওয়া থেকে শুরু করে নানান মজার ঘটনা রয়েছে তাকে ঘিরে। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বিস্ফোরক ব্যাটার ছিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। ফরম্যাটই যাই হত, ব্যাট হাতে ঝড় তুলতেন তিনি। আক্রমণাত্বক ব্যাটিং করেও তিনি ক্রিজে থাকতে চাইতেন।
সেজন্য নাকি একবার পাকিস্তানের আম্পায়ার আসাদ রউফকেও ‘ঘুষ’ও দিয়েছিলেন তিনি।সেওয়াগ নিজেই জানালেন এই তথ্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বীরু জানান যে, তিনি সবসময় আম্পায়ারদের দামি ব্র্যান্ডের জুতো, চশমা এবং টি-শার্ট উপহার হিসেবে দিতেন। যাতে আম্পায়াররা তার বিরুদ্ধে সহজে না আউটের সিদ্ধান্ত দেন। ২০০৮ সালে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ম্য়াচ খেলার সময়েও এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল। ৮০ রানে ব্যাট করছিলেন বীরু।মিচেল জনসন তাকে একটি শর্ট পিচ ডেলিভারি করেছিলেন। ওই ডেলিভারিতে তার ব্যাটের কানায় লেগে বল উইকেটরক্ষকের হাতে যায়।
কিন্তু পাকিস্তানি আম্পায়ার আসাদ রউফ তার আঙুল তুলেননি। সে সময় ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের (ডিআরএস) কোনো ব্যবস্থা ছিল না, বেঁচে যান সেওয়াগ। সাক্ষাৎকারে শেবাগ বলেন, শৌখিন সামগ্রীর প্রতি দূর্বলতা ছিল আসাদ রউফের।
উনি দামি ব্র্যান্ডের চশমা, টি-শার্ট, জুতো এবং অন্য সামগ্রী ব্যবহার করতে ভালোবাসতেন। সেই সময় আমি অ্যাডিডাসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ছিলাম। সেকারণে আমি মাঝেমধ্যেই তাকে (আশাদ রউফ) ওই ব্র্যান্ডের চশমা, টি-শার্ট, জুতো উপহার দিতাম। আর মজা করে বলতাম, আমি যখন ব্যাট করব, তখন যেন সহজে আউটের জন্য আঙুল না তোলেন।
বীরু আরো বলেন , উনি (আসাদ রউফ) ঠিক সেই কাজটাই করেছিলেন। ২০০৮ সালে মোহালিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ওই ম্য়াচে খেলেছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণও। জনসন আমাকে একটা শর্ট পিচ ডেলিভারি করেছিল। আমি কাট শট মারতে গিয়েছিলাম। বলটি ব্যাটের কানায় লেগেছিল।
শব্দটা এতো জোরে হয় যে ড্রেসিংরুম পর্যন্ত সেই ব্যাটে-বলের সংযোগের শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু রউফ আউট দেননি। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ অবশ্য পুরো ব্যাপারটাই মজা করেছেন। আসাদ রউফ যথেষ্ট দক্ষ আম্পায়ার বলে জানিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন তারকা ওপেনার।