Friday, March 21, 2025
বাড়িখেলাগোলের আগে রদ্রিগোর সঙ্গে কী কথা হয়েছিল আনচেলত্তির

গোলের আগে রদ্রিগোর সঙ্গে কী কথা হয়েছিল আনচেলত্তির

স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক,,১৯ এপ্রিল: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মঙ্গলবার চেলসির মাঠে ৫৮তম মিনিটে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন রদ্রিগো। ওই গোলের আগ পর্যন্তও বেশ লড়াই করে আশা বাঁচিয়ে রেখেছিল চেলসি। কিন্তু রদ্রিগোর গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান হয়ে যায় ৩-০। ফেরার আশাও কার্যত শেষ হয়ে যায়। পরে রদ্রিগো আরও একটি গোল করে রিয়ালকে দুই লেগ মিলিয়ে জিতিয়ে দেন ৪-০ ব্যবধানে। এ দিন শুরু থেকেই মাঠে নামা রদ্রিগো নিজের ঠিক সেরা ছন্দে ছিলেন না। তবে পরে ঠিকই দুই গোল করে নায়ক হয়ে যান। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি শোনালেন, রদ্রিগোর সঙ্গে তার কী আলোচনা হয়েছিল গোলের ঠিক আগে। “রদ্রিগোর সঙ্গে আমি কথা বলছিলাম রক্ষণের একটি সমস্যা নিয়ে (চেলসির), একজনের পজিশনের একটি ব্যাপার। সত্যি বলতে, অন্য বেশ কিছু ম্যাচের তুলনায় আজকে তার পারফরম্যান্স ভালো ছিল না অতটা। অনেক ম্যাচে সে গোল না করলেও দারুণ খেলেছে।” “তবে শেষ পর্যন্ত সে দুটি গোল করেছে এবং কোয়ার্টার-ফাইনালে দুই গোল দারুণ ব্যাপার। তার মতো একজনকে পেয়ে এবং দারুণ মান ও প্রাণশক্তিতে ভরপুর অন্য তরুণ ফুটবলারদের পেয়ে আমরা সৌভাগ্যবান।” 

স্টামফোর্ড ব্রিজে এ দিন প্রথমার্ধে দাপট বেশি ছিল চেলসিরই। বেশ আগ্রাসী ফুটবল খেলে তারা চপে রাখে রিয়ালকে। তবে রিয়ালের কৃতিত্ব, তারা গোল হজম করেনি। দুঃসময়ের চক্রে থাকা চেলসির বিপক্ষে প্রথমার্ধের ভোগান্তিটুকুও অস্বাভাবিক নয় আনচেলত্তির কাছে। “আমরা জানতাম, এই ধরনের ম্যাচে আমাদের ভুগতে হতে পারে। তারা নিজেদের মাঠে নিজেদের উজাড় করে দিয়ে খেলেছে। প্রথমার্ধে বিশেষ করে বাঁ পাশ দিয়ে আমাদেরকে বেশ সমস্যায় ফেলেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা তা শুধরে নিয়েছি।” “প্রথমার্ধের ভোগান্তি স্বাভাবিক ব্যাপার। রক্ষণে আমরা বেশ আঁটসাঁট ছিলাম বলে বিপদ হয়নি। আত্মবিশ্বাস ছিল আমাদের। সব মিলিয়ে ভালো একটি ম্যাচ খেলেছি আমরা, জয় প্রাপ্য ছিল এবং আমরা খুশি।” প্রথমার্ধের শেষ দিকে খুব কাছ থেকে মার্ক কোকোরেইয়ার গতিময় শট ঠেকিয়ে দেন রিয়াল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। গোটা ম্যাচে বেশ কয়েকটি ভালো সেভ করেন তিনি। কোচের কণ্ঠে আলাদা করে ফুটে উঠল গোলকিপারের কথাও। “কোর্তোয়ার ওই সেভটা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওদেরকে এগিয়ে যেতে দিতে চাইনি আমরা। ওরা গোলটি করতে পারলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারত। দুর্ভাবনা তাই ছিল কিছুটা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছি, আরও শক্তিশালী হয়েছি এবং জায়গা বানিয়ে ভালো পাস দিতে সক্ষম হয়েছি। শেষ পর্যন্ত বেশ ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পেরেছি আমরা। জয় আমাদেরই প্রাপ্য ছিল।” 

চলতি মৌসুমে নানা সময়ে অধারাবাহিক দেখা গেছে রিয়ালকে। বিশেষ করে, লা লিগায় শিরোপা ধরে রাখার লড়াই থেকে তারা ছিটকে গেছে অনেকটা দূরে। তবে এখন দলকে সেরা চেহারায়ই দেখছেন আনচেলত্তি। “মৌসুমের এই পর্যায়ে আমরা খুব ভালো খেলছি। নিজেদের চূড়ায় আছি আমরা, দারুণ অনুপ্রাণিত আছি, মনোযোগ প্রবল, রক্ষণে আমরা মজবুত। সেমি-ফাইনালে উঠতে পারা মানে সবসময়ই সাফল্যের।” হলুদ কার্ডের খাড়ায় সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল পাবে না এদের মিলিতাওকে। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন এই ডিফেন্ডার। চেলসির বিপক্ষে দুই লেগেই তিনি রক্ষণে ছিলেন দলের মহীরূহ হয়ে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাকে না পাওয়ার হতাশা লুকালেন না রিয়াল কোচ। “একটু দুর্ভাবনা ছিল (মিলিতাও হলুদ কার্ড পাওয়ার পর), ১০ জনের দলে পরিণত হলে কাজটা কঠিন হতো আমাদের জন্য। তবু তাকে খেলিয়ে গেছে, কারণ সে দুর্দান্ত খেলেছে। কার্ড পাওয়ার পরও অসাধারণ খেলেছে। সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে তাকে আমরা মিস করব অবশ্যই। তবে আশা করি, আলাবা ফিরবে।” সেমি-ফাইনালে রিয়াল খেলবে ম্যানচেস্টার সিটি ও বায়ার্ন মিউনিখের লড়াইয়ে জয়ী দলের বিপক্ষে। প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয়ে অনেকটাই এগিয়ে সিটি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য