Saturday, July 27, 2024
বাড়িখেলাআলো ছড়াচ্ছেন মেসি-এমবাপে, এবার পালা নেইমারের

আলো ছড়াচ্ছেন মেসি-এমবাপে, এবার পালা নেইমারের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর: দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল।সার্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের ২-০ গোলে জয়ের আনন্দ ফিকে হয়ে যায় নেইমারের চোটে। ওই ম্যাচে রিশার্লিসনের জোড়া গোলে আড়ালে থাকেন ৩০ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। এরপর চোটে গ্রুপ পর্ব থেকে আড়ালে চলে যান পুরোপুরি। পরের দুই ম্যাচে স্রেফ দর্শক হয়ে দেখেন সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ব্রাজিলের ১-০ গোলের কষ্টের জয়, ক্যামেরুনের কাছে একই ব্যবধানে হার।দলের আক্রমণভাগের প্রাণভোমরা নেইমারকে ছাড়া শেষ দুই ম্যাচে ব্রাজিলের খেলায় তাই উপভোগ্য ফুটবলের সুর বাজেনি গুনগুনিয়ে। সুন্দর ফুটবলের পূজারি সেলেসাও সমর্থকরা মাঠ ছাড়েন অতৃপ্তি নিয়ে। এবার সে দেনা-পাওনা সুদে-আসলে মিটিয়ে দেওয়ার ভার নেইমারের কাঁধে।কাতার বিশ্বকাপে এরই মধ্যে সর্বোচ্চ গোলদাতার লড়াই জমে উঠেছে। সেখানে নেইমারের দুই ক্লাব সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে ও লিওনেল মেসি ছড়াচ্ছেন আলো। এমবাপে যেন ছুটছেন মরুঝড়ের বেগে। ৫টি গোল চকচক করছে ২৩ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের নামের পাশে, ফ্রান্সও তরতরিয়ে উঠে গেছে কোয়ার্টার-ফাইনালেআর্জেন্টিনার আক্রমণের সুর বেঁধে দেওয়ার মহাভার কাঁধে নিয়ে ছুটছেন মেসিও। চার ম্যাচে করেছেন তিন গোল। হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুর করা দলকে এনে দিয়েছেন টানা তিন জয়। অন্য দিকে চোটের জন্য অনেকটা সময় নষ্ট হয়ে গেছে নেইমারের। সামনে এখন মহাগুরুত্বপূর্ণ নক আউট পর্ব। তাই নিজের ছাপ রাখার সুযোগ ব্রাজিলিয়ান তারকার থাকছে যথেষ্টই।

বরাবরের মতো প্রণোচ্ছল হাসিতে তিনি নামেন অনুশীলনে। সেখানে জড়তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। যদিও একবার মাঠের কোণে এসে গোঁড়ালিতে কিছু একটা নিতে দেখা যায় তাকে। হয়তো একটু অস্বস্তি বোধ করছিলেন বুটের কারণে, তা বদলে নিয়ে দ্রুতই নেমে পড়েন কাজে। সময় যে তার হাতেও বেশি নেই!দেয়ালে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে বিশ্বকাপের সবুজে মেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর সম্ভাব্য শেষের গুঞ্জন। মেসির বয়স ৩৫, রোনালদো তার চেয়ে দুই বছরের বড়। কিন্তু নেইমারের বয়সও যে কম নয় একেবারে! ৩০টি বসন্ত পার করা ফেলেছেন। ওদিকে ষষ্ঠ শিরোপার জন্য ব্রাজিলের ক্ষণ গণনা চলছে ২০ বছর ধরে।সুদূর সাও পাওলোয় অসুস্থ পেলেও হয়ত তাকিয়ে আছেন নেইমারের দিকে। সান্তোসের আঙিনায় বেড়ে ওঠা উত্তরসূরিকে নিয়ে তার মুগ্ধতার অন্ত নেই। রেকর্ডের একটি পাতায় তিনটি বিশ্বকাপজয়ী পেলেকে ছাপিয়ে যাওয়ার হাতছানি আছে নেইমারের সামনে। আর দুটি গোলে বসবেন কিংবদন্তির পাশে। তিনটি হলে তাকে ছাপিয়ে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতার সিংহাসনে বসবেন নেইমার।কিন্তু একই সঙ্গে যে তাকে বসতে হবে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলপাগলদের মনের সিংহাসনে। তা পুরোপুরি এখনও পারেননি নেইমার। ক্লাবগুলোতে মুঠোভরে সাফল্য পাওয়া এই ফরোয়ার্ডের হলুদ জার্সিতে অর্জন বলতে ২০১৩ সালের কনফেডারেশন কাপ জয়। এতটুকুতে সেলেসাও সমর্থকদের মন পাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। নেইমারেরও তৃপ্ত থাকার কথা নয়। তাই চোট থেকে সেরে উঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন অনুশীলনে। অপূর্ণতার হিসেব মিলিয়ে দিতে, মেসি-এমবাপেদের মতো দ্যুতি ছড়াতে ঘাম ঝরান গভীর মনোযোগ নিয়ে, নিদারুণ একাগ্রতায়।তবু একটা প্রশ্ন ঠিকই থেকে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শুরু থেকে নাকি বদলি হিসেব খেলবেন নেইমার? বিষয়টি খোলাসা করেননি তিতে। কিন্তু উত্তর যাই হোক, সুযোগ পেলে খোলস ছেড়ে, আড়াল ভেঙে বেরিয়েই আসতে হবে নেইমারকে, ব্রাজিল যে তৃষ্ণার্ত চাতকের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে!

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য