স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর: কাতার বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের পথচলা থেকে চোট সঙ্গী ব্রাজিলের। সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চোট পান নেইমার ও দানিলো। এরপর সুইজারল্যান্ড ম্যাচে নিতম্বে চোট পান আলেক্স সান্দ্রো। ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে ১-০ গোল হারা ম্যাচে বড় ধাক্কা হয়ে আসে গাব্রিয়েল জেসুস ও আলেক্স তেলেসের চোট।গ্রুপে তিন ম্যাচ শেষ করতেই চোটের কবলে পাঁচ জন! এরমধ্যে জেসুস ও তেলেসের বিশ্বকাপই শেষ! অথচ ব্রাজিলের ‘আসল পরীক্ষা’ শুরু সোমবার। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়, শেষ ষোলোর ম্যাচ দিয়ে। প্রস্তুতিতে তাই তিতেকে দূর থেকে শান্ত দেখায় বটে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তার দুর্ভাবনার চোরাস্রোত বয়ে চলারই কথা।চোটের থাবায় এলোমেলো হয়ে যাওয়া ছক ফের সাজাতে রোববারে প্রস্তুতিতে দেরি করেননি তিতে। দোহার আল আরাবি স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রস্তুতিতে নেমে বিক্ষিপ্ত পায়চারি করে সময় নষ্ট করেননি। পুরো মাঠে দ্রুত এক চক্কর দিয়ে পরখ করে নেন সবকিছু।এ কদিন শুরুর পনের মিনিটে দুই প্রান্তে দুটি পোস্ট সাজিয়ে অনুশীলন সেরেছেন, এবার সারলেন চারটি দিয়ে। এর মধ্যে মাঠ ছোট করে এনে বসানো দুটি পোস্ট, যাতে পাসিং, শুটিংয়ের অনুশীলন হয় আরও নিখুঁত।শুটিংয়ে রিশার্লিসন, গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিদের কারো শট ঠিকানা খুঁজে পায়। কারো শট ফিরে আসে পোস্ট কাঁপিয়ে। কারোটা উড়ে যায় বাইরে। তবে আক্রমণভাগ নিয়ে অবশ্য কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে তিতের। সার্বিয়া ম্যাচে পাওয়া চোট কাটিয়ে ফিরেছেন নেইমার। কিন্তু রক্ষণ নিয়ে যে খচখচানি পুরোপুরি কাটছে না তিতের।
টানা দুই জয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত হওয়ায় নিয়মিত খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়ার পাশাপাশি ক্যামেরুন ম্যাচে বেঞ্চের শক্তিও পরীক্ষা করেন ব্রাজিল কোচ। আলভেস, তেলেস, এদের মিলিতাও এবং গ্লেইন বেহেমাকে রাখেন রক্ষণে। চিয়াগো সিলভার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেন ৩৯ বছর বয়সী আলভেস।ওই ম্যাচে খেলতে নেমে সাবেক বার্সেলোনা ডিফেন্ডারের গড়া হয়ে যায় একসঙ্গে দুটি রেকর্ড-সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে খেলার কীর্তি। কিন্তু রক্ষণ সামলানোর পরীক্ষায় ‘পাস’ করতে পারেননি তারা।আফ্রিকার কোনো দলের কাছে প্রথম হার নিয়ে খুব একটা ভাবার কিছু নেই তিতের। কিন্তু চোটের জন্য বিশেষজ্ঞ ফুল ব্যাকের ঘাটতি তার জন্য নিশ্চিতভাবেই দুর্ভাবনার কারণ। সেরে ওঠে দানিলো শেষ পর্যন্ত মাঠে নামতে পারলে অবশ্য সমস্যা অনেকটাই কেটে যাবে। কিন্তু তিনি নামতে না পারলে? তিতের রক্ষণের ভাবনা নিয়ে চারদিকে অনুমানের শেষ নেই। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে লেফট-ব্যাকে মার্কিনিয়োস, রাইট-ব্যাকে আলভেস আর মাঝে মিলিতাও ও সিলভা।আসল সত্যটা কেবল ‘প্রফেসর’ তিতেই জানেন। দক্ষিণ কোরিয়া বাধা পেরুতে ৩৮ বছর বয়সী সিলভা, ৩৯ বছর বয়সী আলভেসের অভিজ্ঞ কাঁধে তিনি আস্থা রাখলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। দুজনে যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেলেসাওদের রক্ষণ সামলেছেন দীর্ষদিন; দারুণ দৃঢ়তায়।