স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৫ ডিসেম্বর: ছিটকে পড়ার দুয়ারে গিয়েও বিশ্বকাপে টিকে থাকার পর এখন আর হারানোর কিছু দেখছে না দক্ষিণ কোরিয়া। নকআউট পর্বের প্রথম ধাপে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলের বিপক্ষে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন দলটির কোচ পাওলো বেন্তো। তিতের দলকে হারানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসীও তিনি। এবারের বিশ্বকাপের যে বাস্তবতা, সেটিই আশা দেখাচ্ছে কোরিয়াকে। গ্রুপ পর্বে দেখা গেছে একের পর এক অঘটন। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল হেরেছে র্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে। জার্মানি ও স্পেনকে হারিয়ে দিয়েছে জাপান। গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে জিতেছে তিউনিসিয়া। চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও রাশিয়া আসরে তৃতীয় হওয়া বেলজিয়াম বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে। কোরিয়াও ঘটিয়েছে অঘটন; তারা নকআউট পর্বের টিকেট পেয়েছে গ্রুপের শেষ ম্যাচে যোগ করা সময়ের গোলে পর্তুগালকে হারিয়ে, উরুগুয়ের চেয়ে গোল বেশি করার সুবাদে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে। শেষ ষোলোয় সোমবার ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে তারা। দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। এই বিশ্বকাপকে নিজেদের ছাপ রাখার বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে কোরিয়া। দলটির ডিফেন্ডার কিম জিন-সু যেমন বললেন, প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগাতে মুখিয়ে আছেন তারা।
“প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি মিনিট খুবই মূল্যবান। পুরো দলের মনোবল দারুণ, টিমওয়ার্কও দুর্দান্ত। সত্যিই আমরা সবাই এতদূর আসতে চেয়েছি, এজন্য আমরা সবাই ক্ষুধার্ত।” ২০১৮ বিশ্বকাপে গ্রুপের শেষ ম্যাচে তখনকার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে হারিয়ে দিয়েছিল কোরিয়া। সেবারও জার্মানরা বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে। ২০০২ সালে ঘরের মাঠের আসরে শেষ ষোলোয় ইতালিকে ও কোয়ার্টার-ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে কোরিয়া উঠেছিল সেমি-ফাইনালে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামলে প্রতি-আক্রমণে ওঠার সামর্থ্য ও অদম্য মনোভাবের জন্য বেশ পরিচিতি আছে কোরিয়ার। যার প্রতিফলন দেখা গেছে পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচে।২০১০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলবে তারা, সব মিলিয়ে তৃতীয়বার। ব্রাজিলের বিপক্ষে সতীর্থদের নিজেদের উজাড় করে দিতে বললেন কিম জিন-সু। “অবশ্যই খুব চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হবে এটি। আমরা সবাইকে দেখাতে চাই যে, আমরা কী পারি এবং কিসের জন্য আমরা ১২ বছর ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আমাদের লড়াইয়ের মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ হবে। দলের জন্য আমাদের আত্মত্যাগ করতে হবে।” দলের পর্তুগিজ কোচ বেন্তোও আশাবাদী, নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়াই করবে তার শিষ্যরা। “বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে আমরা ভয় পাই না। আমাদের দলেও বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। আমাদের সুযোগ আছে… সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা দেখাতে চাই যে, আমরা জিততে চাই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই এবং শেষ বাঁশির আগ পর্যন্ত লড়াই করতে চাই।”