স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,২৫ নভেম্বর: দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ বৃহস্পতিবার ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচটি দ্বিতীয়ার্ধে মেলে ধরে রোমাঞ্চের ঝাঁপি। ৫ গোলের উত্তেজনায় ভরা লড়াইয়ে ৩-২ গোলে শেষ পর্যন্ত ঘানাকে হারিয়ে উল্লাসে মাতে পর্তুগাল। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে ওই পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। ডি-বক্সে রোনালদোকেই ধাক্কা মারেন ঘানার মোহামেদ সালিসু। সেটা অবশ্য ততটা জোরাল মনে হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ফাউলের বাঁশি বাজান আমেরিকান রেফারি ইসমাইল ইলফাথ। স্পট-কিকে গোল করে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান রোনালদো। সঙ্গে নাম লেখান ইতিহাসের এমন এক পাতায়, যেখানে তিনি ছাড়া পা পড়েনি আর কারো। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এখন একমাত্র ফুটবলার রোনালদো, যিনি টানা পাঁচটি আসরে পেলেন জালের দেখা। ছাড়িয়ে গেলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে, জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা ও উয়ি সিলার এবং আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির চার আসরে করা গোলের কীর্তি। তবে রোনালদোর রেকর্ড গড়া গোলটি নিয়ে আঙুল তুলেছেন ঘানা কোচ। রেফারি কেন ভিএআর-এর সাহায্য নেয়নি, প্রশ্ন রেখেছেন তিনি। সঙ্গে অভিযোগ করলেন, রোনালদোকে ইতিহাস গড়তে গোলটি উপহার দিয়েছেন রেফারি।
“এটা সত্যিই ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। বলে আমরাই স্পর্শ করেছিলাম…জানি না, এখানে কেন ভিএআরের সাহায্য নেওয়া হলো না, এটার কোনো ব্যাখ্যা নেই।” “এটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এটা আসলে আমাদের বিরুদ্ধে একটি ফাউল ছিল। কেউ যদি গোল করে, তার জন্য অভিনন্দন। তবে এটা ছিল উপহার, সত্যিকার অর্থেই একটি উপহার।” শুধু তাই নয়, আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে গিয়েছে বলে দাবি করেন ঘানা কোচ। ম্যাচের পর রেফারির সঙ্গে সে বিষয়ে কথাও বলতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু পারেননি। “আমি শান্তভাবে রেফারির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাকে বলা হয়েছিল যে, তিনি একটি মিটিংয়ে। তিনি আমাদের পক্ষে ছিলেন না। আমরা কয়েকটি হলুদ কার্ড পেয়েছি যা প্রাপ্য ছিল। তবে জার্সি ধরে রাখা এবং পাল্টা আক্রমণ ব্যহত করার যে চেষ্টা পর্তুর্গিজরা করেছিল, যেগুলি হলুদ কার্ড ছিল। কিন্তু তাদের দেওয়া হয়নি।” এই হারে শেষ ষোলোতে যাওয়ার পথ কঠিন হয়ে গেল ঘানার জন্য। আগামী সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে লড়বে আফ্রিকার দলটি।