স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,২৮ অক্টোবর: গত এশিয়া কাপেও শ্রীলঙ্কা দলে ছিল এমন চিত্র। প্রথম পছন্দের পেসারদের প্রায় সবাই চোটের জন্য ছিলেন বাইরে। টুর্নামেন্ট চলার সময়ও চোট পেয়েছেন কয়েক জন। খর্ব শক্তির দল নিয়েই অবশ্য শিরোপা জেতে দাসুন শানাকার দল।এবার বিশ্বকাপ শুরুর আগেই ছিটকে পড়েন বাঁহাতি পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা। তার জায়গায় নেওয়া হয় আরেক বাঁহাতি পেসার বিনুরা ফার্নান্দোকে। তিনিই আবার সবশেষ নাম লিখিয়েছেন চোট পাওয়া খেলোয়াড়দের তালিকায়। বদলি হিসেবে দলভুক্ত করা হয়েছে তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা আসিথা ফার্নান্দোকে।বিনুরা ও মাদুশঙ্কার আগে ইনজুরিতে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে দলের মূল পেসার দুশমন্থ চামিরা ও বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দানুশকা গুনাথিলাকার। এ দুজনের জায়গায় স্কোয়াডে এসেছেন কাসুন রাজিথা ও আশেন বান্দারা। এর আগে চোটের কারণে এশিয়া কাপ খেলা হয়নি চামিরা, লাহিরু কুমারা, বিনুরা ও রাজিথার।ক্রিকেটারদের চোটের এই মিছিলের কারণ কী তা ধরতে পারছেন না শ্রীলঙ্কা। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সহকারী কোচ নাভিদ নওয়াজ বললেন, ব্যাখ্যা খুঁজছেন তারাও।“আমার মনে হয়, বিষয়টি নিয়ে আমাদের বসে চিন্তা করতে হবে, কেন এমন হচ্ছে। এর সবচেয়ে ভালো সমাধান কী হতে পারে। এখনই আমরা বসে সমাধান বের করার সময় পাচ্ছি না। দীর্ঘমেয়াদে এটি নিয়ে ভাবতে হবে। আপাতত চোটে থাকা খেলোয়াড়দের বদলে সম্ভাব্য সেরা ১১ জন নিয়েই মাঠে নামার চেষ্টা করছি আমরা।”
এত খেলোয়াড় চোট পেলেও দলের আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি দেখছেন না নওয়াজ।“এটি এমন এক বিষয় যা আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। আমি মনে করি, এটি নতুন ছেলেদের খেলার একটি সুযোগ। দলের আত্মবিশ্বাস উঁচুতেই আছে। এখনও সবার মধ্যে সেমি-ফাইনালে যাওয়ার আশা রয়েছে। টুর্নামেন্টের বাকি অংশের জন্য আমরা খুবই অনুপ্রাণিত।”সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শনিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মুখোমুখি হবে নিউ জিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। দুই দলেরই শেষ হয়েছে দুটি করে ম্যাচ। শ্রীলঙ্কার ঝুলিতে রয়েছে ২ পয়েন্ট। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় ৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘১’ নম্বর গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে নিউ জিল্যান্ড।