স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা,২৮ অক্টোবর: শটের পরিধি অনেক সূর্যকুমারের। মাঠের যেকোনো প্রান্তে বল পাঠাতে পারেন তিনি। তার ব্যাটিংয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার রিকি পন্টিং তো বলেই দিয়েছেন, এবি ডি ভিলিয়ার্সে মতোই ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটসম্যান সূর্যকুমার।তবে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছে তার স্ট্রাইক রেট। ধারাবাহিকভাবে ১৮০-২০০ স্ট্রাইক রেটে রান তুলে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছেন সূর্যকুমার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে বৃহস্পতিবারের ম্যাচেই যেমন খেললেন ২৫ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস। যার সুবাদে ১৭৯ রানের পুঁজি গড়ে ৫৬ রানের বড় জয় পায় ভারত।২০২১ সালের মার্চে অভিষেকে পর থেকে সূর্যকুমার এখন টি-টোয়েন্টিতে ভারতের নিয়মিত মুখ। এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ৩৬ টি-টোয়েন্টি খেলে ১ সেঞ্চুরি ও ১০ ফিফটিতে রান করে ফেলেছেন ১ হাজার ১১১।
যেখানে সূর্যকুমারের স্ট্রাইক রেট ১৭৭.৪৭। টি-টোয়েন্টিতে তার অভিষেকের পর কমপক্ষে ২০ ইনিংস ব্যাটিং করে এত বেশি স্ট্রাইক রেট নেই আর কারো।চলতি বছর তো তার স্ট্রাইক রেট বেড়েছে আরও। গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫ ম্যাচ খেলা সূর্যকুমারের স্ট্রাইক রেট ১৮৪.৮৬। ক্যারিয়ারের একমাত্র সেঞ্চুরিটি তিনি করেছেন এই সময়েই।আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এই সময়ে কমপক্ষে ১৫ ইনিংস ব্যাটিং করেছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্ট্রাইক রেট সূর্যকুমারেরই।২২ গজে নিজেকে মেলে ধরে সূর্যকুমার এখন টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের তিন নম্বর ব্যাটসম্যান। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে তাকে প্রশ্ন করা হয়, স্ট্রাইক রেটে এতটা ধারাবাহিক কীভাবে? ৩২ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান তুলে ধরেন, তার অনুশীলনের ধরন।“নেট সেশনে আমি নিজেকে অনেক চাপে রাখি। যেমন ধরুন, আমি কিছু সংখ্যক বল নির্ধারণ করি এবং ওই বলগুলোয় ‘নির্দিষ্ট’ সংখ্যক রান নিতে চাই। যদি আউট হয়ে যাই, স্রেফ চলে আসি। ওইদিন আমি আর ব্যাটিং করি না।”“একই জিনিস আমি ম্যাচে পুনরাবৃত্তি করি। আমার পরিকল্পনা খুবই পরিষ্কার। ঝুলিতে যেসব শট আছে, আমি কেবল মাঠে যাই এবং সেগুলো খেলার চেষ্টা করি। বক্সের বাইরে কিছুই করি না। এটাই আমাকে সাহায্য করে আসছে এবং আশা করি, সামনের ম্যাচগুলোয়ও একই কাজ করার চেষ্টা করব।”