স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২১ জুন : বরাতজোরে রক্ষা ইন্ডিগো বিমানের! মাঝ আকাশে ‘মে ডে’ কল পাইলটের! জরুরি অবতরণে প্রাণ বাঁচল শতাধিক যাত্রীর। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটছে বেঙ্গালুরু বিমানবন্দরে। সূত্রের দাবি, বিমান চালককে আপাতত রোজকার কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিমানের বিপদ যেন কাটছেই না! আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের মাঝ আকাশে ‘মে ডে’ বার্তা দিলেন পাইলট। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল ইন্ডিগোর বিমানটি। যাত্রী ছিল ১৬৮ জন। মাঝ আকাশে চালক দেখেন, বিমানের জ্বালানি একেবারে তলানিতে। তখনই ‘মে ডে’ কল করেন তিনি। তড়িঘড়ি বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। যদিও বিমান সংস্থার তরফে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, পাইলটকে ‘ডি রস্টার’ করা হয়েছে।
কী এই ‘মে ডে’ কল?
বিমান পরিষেবার পরিভাষায় এটিকে ‘বিপদ সংকেত’ বলা হয়। ফরাসি শব্দ ‘মেইডার’ থেকে মে’ডে শব্দটির উৎপত্তি। এর অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে পাইলট কোনও বিপদের আঁচ পেলে এই শব্দটি ব্যবহার করেন। দ্রুত সাহায্য চান। সাধারণত এটিসি এবং এটিসি-র আওতায় থাকা বিমানের মধ্যে রেডিও কমিউনিকেশনকে মে ডে কল বলা হয়। যা পেলে দ্রুত সাহায্যের বার্তা পাঠানো হয়। এই শব্দবন্ধ প্রথম ১৯২০ সালে চালু হয়েছিল। যা এখন বিশ্বব্যাপী ব্যবহার করা হয়। ‘মে’ডে, মে’ডে, মে’ডে’ সব সময় পরপর তিনবার উচ্চারণ করা হয়। তাহলেই এটিসি বুঝতে পারে বিমানটি কোনও বিপদে পড়েছে।
আহমেদাবাদের লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির চালক বিপদ সংকেত দিয়েও ২৪২ জনের প্রাণ বাঁচাতে পারেননি। তবে এই সংকেতই এ যাত্রায় ইন্ডিগো বিমানের যাত্রীদের প্রাণ রক্ষা করল।