স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৭ জুলাই :বৃহস্পতিবার গান্ধীগ্রাম উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর, সমাজকল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তর, গ্রামোন্নয়ন দপ্তর, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে নেশা ও বাল্যবিবাহের সম্পর্কে সচেতন মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেশা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
নেশার বাড়বাড়ান্ত কিভাবে রুখে দেওয়া যায় সে বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবক মহলের উদ্দেশ্যে আহবান জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন নেশার কারণে কয়েকটি প্রজন্ম নষ্ট হয়ে পড়ছে। যেকোনো ভাবেই নেশা রুখতে হবে। পরিস্থিতি দিন দিন এতটা খারাপের দিকে যাচ্ছে সে অবস্থায় দাঁড়িয়ে নেশার বিরুদ্ধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী নেশা পাচারের রোডম্যাপ সম্পর্কে বলেন, নেশা পাচারকারীরা
মায়নামার থেকে নেশা সামগ্রী এনে ত্রিপুরাকে করিডোর বানিয়েছে। এ নেশা সামগ্রী আসাম এবং মিজোরাম হয়ে ত্রিপুরায় আসছে। এ নেশা সামগ্রী পাচারের সাথে জড়িত রাজ্যের কিছু মানুষ এবং বহিঃরাজ্যেরও কিছু মানুষ। পুলিশ প্রশাসন এ নেশা সামগ্রী গুলি বাজেয়াপ্ত করছে। গত কয়েক বছরে বাজেয়াপ্তের পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়েছে। যাদের ধরা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস ধারা অনুযায়ী মামলা নিয়ে নিরস্ত করা হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে আরো বলেন, কিশোর কিশোরীরা পর্যন্ত এই নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। তারা এ নেশা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেনা। তাদের সচেতন করার জন্য চেষ্টা করা হলে তারা কথা শোনার ধৈর্য্য পর্যন্ত রাখে না। তাই শিক্ষক শিক্ষিকাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য প্রতিদিন ক্লাসের মধ্যে ১০ মিনিট করে নেশার বিভীষিকা সম্পর্কে আলোচনা রাখতে হবে।
একই সাথে অভিভাবকদের নজরে রাখতে হবে তাদের ছেলেমেয়েরা কখন কোথায় যাচ্ছে এবং কার সঙ্গে কোথায় কি করছে। কারণ পরিবেশ এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে ছেলেমেয়েদের জন্য ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী। আয়োজিত অনুষ্ঠানে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সভাধিপতির ইনচার্জ বিশ্বজিৎ শীল, মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন ঝর্ণা দেববর্মা, শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন জয়ন্তী দেববর্মা, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা পুলিশ সুপার কিরণ কুমার কে সহ অন্যান্যরা। অনুষ্ঠানে শেষে ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।