স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৯ জুন : মেইতেই নেতা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতারি ঘিরে বিক্ষোভের জেরে নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর! রবিবার রাতেও দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় মণিপুরের বিভিন্ন প্রান্তে। মশাল হাতে মিছিল, নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, এমনকি সরকারি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে চলেছে রবার বুলেট। ফাটানো হয়েছে কাঁদানে গ্যাসের শেল।
পূর্ব ইম্ফল জেলায় ইয়াইরিপোক তুলিহাল অঞ্চলে মহকুমাশাসকের দফতরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিকাণ্ডে ভবনটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনও সরকারি নথিপত্র নষ্ট হয়নি বলেই প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে। কে বা কারা ওই অগ্নিসংযোগের সঙ্গে যুক্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূর্ব ইম্ফলের ওয়াংখেই, ইয়াইরিপোক এবং খুরাইতে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষুব্ধেরা। রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে চলে প্রতিবাদ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কয়কে রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয় সেখানে। পশ্চিম ইম্ফল জেলায় কাকেইথেল এবং সিংজামেই জেলায় নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। আধিকারিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের হটাতে রবার বুলেটও ব্যবহার করা হয়েছে।
সোমবার সকালেও ইম্ফলের কিছু জায়গায় রাস্তার উপর পোড়া টায়ার পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। সেগুলি থেকে তখনও ধোঁয়া উঠছিল। নিরাপত্তাবাহিনী যাতে এলাকায় না পৌঁছোতে পারে, তার জন্য রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ারও চেষ্টা হয় পশ্চিম ইম্ফলের কিছু অঞ্চলে। পিটিআই জানিয়েছে, ওই জেলার সেকমাই এবং কোইরেঙ্গেই অঞ্চলে রাস্তার উপর মাটির ঢিবি তৈরি করেন বিক্ষোভকারীরা। নিরাপত্তাবাহিনী যাতে এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্যই মাটির ঢিবি তৈরি করা হয়েছিল।
মণিপুর পুলিশের এক আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখনও বেশ উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে। বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে রেখেছেন। যদিও ইম্ফল বিমানবন্দর দিকে যাওয়ার রাস্তা-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অবরোধ হটিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।