স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৩ জুলাই : সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর হওয়ার পর কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিল একাধিক বিরোধী দল। ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দিয়ে সংবিধানকে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ তুলেছিলেন তারা। এবার এনিয়ে বিরোধী শিবিরকে একহাত নিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। টেনে আনলেন বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রসঙ্গ। বিরোধীরা দ্বিচারিতা করছে বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, তারা সংখ্য়ালঘুদের জন্য় এখন কুমিড়ের কান্না কাঁদছে। অথচ সিএএ কার্যকর করার সময় বিরোধীতা করেছিল।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে ব্য়াপক হারে হিন্দু-সহ অন্য়ান্য় সংখ্য়ালঘুদের উপর অত্য়াচার বেড়ে চলেছে। শতাধিক হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলা হয়েছে। ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের শিকার হিন্দু মহিলারা। এনিয়ে একাধিকবার সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রকে। এবার এই বাংলাদেশ ইস্য়ুকে টেনেই সিএএ নিয়ে রাজনাথ বলেন, “প্রতিবেশী দেশগুলোতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার দেখেই আমাদের সরকার সিএএ আনে। যার সবচেয়ে বেশি বিরোধিতা করেছিল সেই রাজনৈতিক দলগুলো যারা দিনরাত সংখ্যালঘুদের জন্য কুমিরের অশ্রু ঝরাত।”
বাংলাদেশ সম্পর্কে রাজনাথ বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি বেশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে যা ঘটছে তা যেকোনও সভ্য সমাজের কাছে কলঙ্কের চেয়ে কম কিছু নয়।” পাটনায় বিজেপি কর্মীদের সভায় এহেন মন্তব্য় শোনা যায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর গলায়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন আনে কেন্দ্রের মোদি সরকার। উদ্দেশ্য, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশে নির্যাতিত অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া। তবে করোনার জেরে তা বলবৎ করা যায়নি প্রায় ৪ বছর। অবশেষে গত বছরের লোকসভা ভোটের আবহে ১১ মার্চ গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে সিএএ চালু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।