স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৮ জুন : মেইতেই সংগঠনের এক শীর্ষনেতা এবং পাঁচ স্বেচ্ছাসেবকের গ্রেপ্তারি ঘিরে ফের উত্তপ্ত মণিপুর। বড়সড় হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পাঁচ জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল পুলিশ প্রশাসন। এদিকে, কুকিদের বিঁধে কেন্দ্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ‘সংঘর্ষ বিরতি’র চুক্তি বাতিল করার আর্জি জানাল মেইতেই গোষ্ঠীগুলি।
আসলে সদ্যই আরামবাই টেঙ্গল নামের একটি মেইতেই গোষ্ঠীর এক শীর্ষ নেতা-সহ পাঁচ স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই পাঁচ নেতার গ্রেপ্তারির পর থেকেই মেইতেই সংগঠনগুলি সোশাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক প্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। সেই উসকানিমূলক প্রচার রুখতেই আসরে নামে প্রশাসন। শনিবার রাত পৌনে বারোটা থেকে পাঁচ জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট।
মণিপুর পুলিশের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, থৌবল, বিষ্ণুপুর এবং কাকচিং জেলায় শনিবার রাত থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। আগামী পাঁচদিন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। পুলিশ বলছে, বড়সড় হিংসার আশঙ্কা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। সোশাল মিডিয়ায় যে ভাবে উসকানিমূলক প্রচার চলছে, তাতে রাজ্যে ফের হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এদিকে মেইতেই গোষ্ঠীগুলি ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের কাছে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি বাতিল করতে চেয়ে দরবার করেছে। তাদের দাবি, মণিপুরে সংঘর্ষের মূলে কুকিরাই! গত ফেব্রুয়ারিতে স্বাক্ষরিত ‘সংঘর্ষবিরতি’ চুক্তি (এসওও) বাতিল করতে চাওয়ার নেপথ্যে কারণ হিসাবে মেইতেইদের বক্তব্য, কুকি জনজাতির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি লাগাতার নাশকতা চালাচ্ছে এবং ‘এসওও’-কে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। কেন্দ্র অবশ্য সরকারিভাবে এ নিয়ে মুখ খোলেনি। তবে পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে মণিপুর ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা প্রবল।