স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ মে : ভারতের লড়াই জঙ্গিদের সঙ্গে, পাক সেনার সঙ্গে নয়। তবে জঙ্গিদের পক্ষ নেওয়ায় পাপের ফল ভুগতে হয়েছে পাকিস্তানকে। ওদের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়েছে। আমাদের জবাবে পাকিস্তানের যে ক্ষতি হয়েছে, তার জন্য ওরাই দায়ী। সাংবাদিক বৈঠকে সাফ জানাল ভারতীয় সেনা।
এদিন ভারতীয় সেনার ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই আরও একবার স্পষ্ট করেন, ৭ মে শুধুমাত্র জঙ্গিদের ডেরায় হামলা চালানো হয়েছে। দুর্ভাগ্য পাক সেনা সেই জঙ্গিদের হয়ে ব্যাট ধরছে। আমরা তার জবাব দিয়েছি। আমাদের কোনও সেনাঘাঁটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কোনও না কোনও স্তরে হামলা প্রতিহত করা যায় যাতে, সেই ভাবেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। ভারতের দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমে দাঁত ফোটাতে পারেনি শত্রুপক্ষ।
গতকালকের মতোই এদিনও একাধিক ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে ব্যাখ্যা করা হয় কীভাবে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে এবং ভারতীয় সেনা তার জবাব দিয়েছে। ছবি-সহ দেখানো হয় চিনে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ভারতীয় ভূখণ্ডে ছুড়েছিল পাকিস্তান। যেগুলির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। দূরপাল্লার রকেটেরও অবশেষ উদ্ধার হয়েছে। ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম আকাশেই প্রতিহত করে এই সমস্ত পাক অস্ত্রগুলিকে। ডিজিএমও রাজীব ঘাই জানান, এমনভাবে বহুস্তরীয় সুরক্ষাবলয় তৈরি ভারতের যাতে ওরা আটকাবেই। এয়ার মার্শাল একে ভারতী জানান, ভারত সমস্ত হামলা চালিয়েছে সীমান্তের এপার থেকে। পাক বিমানের হামলা রুখে দিয়েছে বায়ুসেনা। পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএসএফের ভূমিকারও প্রশংসা করেন ডিজিএমও।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের পাঁচ জঙ্গি। ৭ মে পঁচিশ মিনিটের অপরেশন চালিয়ে বদলা নিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সওয়া নাল্লা, সারজাল, মুরিদকে, কোটলি, কোটলি গুলপার, মেহমোন্না জোয়া, ভিমবের এবং ভাওয়ালপুরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। বায়ুসেনার এই অভিযানে অন্তত ১০০ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে পাকিস্তান টার্গেট করলে পালটা হামলা চালায় ভারত। তাতে পাকিস্তানের একাধিক শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস হয়। ক্রমশ মার খাওয়া পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত হটলাইনের সংঘর্ষবিরতির জন্য ফোন করে ভারতের ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাইকে।