স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ মে : যুদ্ধবিরতির পরও সীমান্তের ওপার থেকে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দিতে সীমান্তে সেনা কমান্ডারডের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিলেন সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন বা ডিজিএমও। তার আগে সেনাপ্রধান স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘সীমান্তের ওপার থেকে কোনওরকম হামলা হলে তৎক্ষণাৎ যেন পালটা মার দেয় সেনা।’
গত চার দিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ চলার পর শনিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে সংঘর্ষবিরতি। যদিও তারপরও পাকিস্তানের ওপার থেকে ভারতের দিকে ধেয়ে এসেছে গুলি ও মর্টার। এই পরিস্থিতিতে রবিবার নিরাপত্তা পর্যালোচনায় পশ্চিম সেমান্তের সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সেই বৈঠকে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কমান্ডারদের অবগত করার পাশাপাশি সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেন তিনি। জানিয়ে দেন পাকিস্তান যদি কোনও রকমভাবে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে তবে এপার থেকেও যেন উচিত শিক্ষা দেওয়া হয় পাক সেনাকে।
এই ইস্যুতে সেনাবাহিনীর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে লেখা হয়েছে, সংঘর্ষবিরতির মধ্যেও ১০-১১ মে আকাশসীমা লঙ্ঘন করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম সীমান্তের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। ১০ মে দুই দেশের ডিজিএমও-এর আলোচনায় যে সমঝোতা হয়েছে তা কোনওভাবে লঙ্ঘন হলে পালটা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেনা কমান্ডারদের পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির পর আগামী ১২ মে দুপুর ১২টায় বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমও। অনুমান করা হচ্ছে, এই বৈঠকে উঠে আসতে পারে কাশ্মীর সমস্যার বিষয়। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ জানিয়েছেন, মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেন পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা। সেখানে সিন্ধু জলচুক্তি এবং সন্ত্রাসবাদ দমনের প্রসঙ্গের পাশাপাশি কাশ্মীর সমস্যা নিয়েও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর। তবে ভারতের তরফে আলোচনার বিষয়বস্তু নিয়ে এখনও কোনও মন্তব্য প্রকাশ্যে আসেনি।