স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১১ মে : শুকিয়ে গিয়েছে নোনতা কান্নার জল। গালে ছাপ স্পষ্ট। চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ। এলোমেলো চুল। গলা ভেঙে গিয়েছে। একরাতে জীবন বদলে গিয়েছে ১১ বছরের মেয়েটার। বাবা শহিদ হয়েছেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি মা। ভাইকে সামলানোর দায়িত্ব কার্যত তার উপরেই। বাবার কফিন বন্দি দেহ বাড়িতে পৌঁছনর পর প্রতিজ্ঞা তার—“বাবার মৃত্যুর বদলা নেব, বড় হয়ে সেনায় যোগ দিতে চাই।”
শনিবার পাক সেনার ড্রোন হামলায় মৃত্যু হয়েছে বায়ুসেনার চিকিৎসক রাজস্থানের সুরেন্দ্র কুমারের। জম্মু কাশ্মীরের উধমপুরে হামলায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মেয়ে বর্তিকার কথায়, “শুক্রবার রাতে বাবার সঙ্গে কথা হয়েছিল। সেই সময় বাবা বলে আকাশে ড্রোন উড়ছে। তবে হামলা হচ্ছে না। তাঁরা সুরক্ষিত আছে।”
ওটাই শেষ কথা হতে চলেছে তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি সুরেন্দ্রর পরিবার। এক দিনের ব্যবধানে রবিবার সকালে কফিন বন্দি হয়ে ঘরে ফিরলেন তিনি। দেহ জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে মেয়ে বর্তিকা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হঠাৎ বড় হয়ে ওঠা ১১ বছরের বর্তিকা বলে, “বাবার জন্য আমি গর্বিত। শত্রু দমনে বাবা শহিদ হয়েছে। দেশরক্ষায় প্রাণ দিয়েছে।” সদ্য বাবা হারানো মেয়ের বার্তা, “পাকিস্তানকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেওয়া উচিত। নাম মুছে দেওয়া হোক।” নিজেকে সামলে কঠিন কণ্ঠে বলে ওঠে, “আমি বড় হয়ে সেনার যোগ দিতে চাই। বাবার মৃত্যুর বদলা নেব।”