স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৭ মে : ‘শত্রুকে কখনও দুর্বল মনে করবেন না’, সতর্ক করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নিয়ন্ত্রণরেখায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করার নির্দেশের পাশাপাশি গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি। সতর্কতা রয়েছে ‘চিকেন নেকে’ও।
কেন এতটা গুরুত্বপূর্ণ চিকেন নেক? এই এলাকা ‘শিলিগুড়ি করিডর’ নামেও পরিচিত। শিলিগুড়ি শহরে অবস্থিত এই করিডর ভূকৌশলগত দিক দিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশে এটির প্রস্থ প্রায় ২০ কিলোমিটার। নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশ এই তিন দেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে শিলিগুড়ি করিডর। ভারতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যকে বেঁধে রেখেছে এই সংকীর্ণ স্থলভাগ। যার তুলনা করা চলে মুরগির গলার সঙ্গে।
সমরশাস্ত্রের সূত্র মেনে ভারতের মতো মহাশক্তিধর দেশকে দুর্বল করতে এই শিলিগুড়ি করিডরকেই পাখির চোখ করেছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। তিনটি দেশের সীমান্ত এক জায়গায় মেশায় এই পথেই অস্ত্রশস্ত্র, মাদক ও জাল নোট ভারতে পাচার করার ছক কষেছে জেহাদিরা। পাশাপাশি সীমান্তের ছিদ্রপথে সন্ত্রাসবাদীদের এদেশে প্রবেশের রাস্তা তৈরি করারও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। এই চিকেন নেক টার্গেট পাকিস্তানেরও। এই অঞ্চলকে ভারতের থেকে আলাদা করে দিতে চায় চিনও। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ লাগলে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ চিকেন নেককে নিশানা করতে পারে পাকিস্তান। তাই সব রকমভাবে প্রস্তুত ভারতও।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। গভীর রাতে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতের হাতে সজোরে থাপ্পড় খেয়ে ফুঁসছে পাকিস্তান। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পাশাপাশি পাক সেনার তরফেও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, সময় সুযোগ বুঝে ভারতকে এর জবাব দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতির মাঝেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর, দেশের আধাসেনার সব জওয়ানের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিএসএফ, সিআরপিএফ, আইটিবিপি, এসএসবি ও সিআইএসএফের মতো প্রধান সব আধাসামরিক বাহিনীর নিজেদের কর্তব্যপালনে ফিরতে হবে জওয়ানদের।