স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৪ মে : হাসপাতালেরই একাংশ ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল অন্তত তিন জনের। সেই ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে পড়েন অনেকে। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে এখনও আরও কয়েক জন আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের এজিএম হাসপাতালে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শনিবার রাতে ওই হাসপাতালের একটি জরাজীর্ণ অংশ আচমকাই ভেঙে পড়ে। তখন ওই ভবনের মধ্যে ছিলেন কমপক্ষে ১৫ জন। তবে সেই সংখ্যা আরও বেশি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকল এবং উদ্ধারকারী দল। যায় পুলিশও। ধ্বংসস্তূপের নীচে শুরু হয় প্রাণের সন্ধান। রাতভর ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একে একে আটকে পড়া মানুষদের বার করে আনে উদ্ধারকারী দল।
পূর্ব সিংভূমের এসএসপি জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল যায়। এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে জীবীত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনও ওইখানে আরও কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তা অনুসন্ধান চলছে।
ঘটনার খবর পেয়েই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন তাঁর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইরফান আনসারিকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ইরফান বলেন, ‘‘আমাদের কাছে এখন নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোই প্রাধান্য পাবে।’’ ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানায় হেমন্তের সরকার। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ করা হবেও জানান ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।