স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯এপ্রিল : ভারতের অত্যাধুনিক রাফালে বিমান গুলি করে নামানোর দাবি পাকিস্তান সেনার। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা ও ২৬ মৃত্যুর ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা যখন চরম আকার নিয়েছে ঠিক সেই সময় শত্রুপক্ষের এই দাবিতে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও পাক সোশাল মিডিয়ার এই দাবি সম্পূর্ণরূপে খারিজ করেছে ভারত সরকার।
দুই দেশের মধ্যে চলা যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে ভারতকে হেয় করতে সম্প্রতি পাক সংবাদ মাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ার তরফে প্রচার চালানো হয়, জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সীমান্তে ভারতের যুদ্ধবিমান রাফালেকে গুলি করে নামিয়েছে পাক সেনা। এই তথ্য সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতে শুরু করলে মঙ্গলবার এই ইস্যুতে মুখ খোলে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। এই দাবিকে পুরোপুরি মিথ্যা বলে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ভারতের কোনও বিমান ধ্বংস হয়নি। পাক সমর্থিত সোশাল মিডিয়ায় যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। এবং যুদ্ধবিমান ধ্বংসের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সেটিও ভুয়ো।
তথ্য প্রমাণ তুলে ধরে কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্রে সুখোই ৩০ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সেই দুর্ঘটনার ছবি তুলে ধরে মিথ্যার বেসাতি শুরু করেছে পাকিস্তান। কেন্দ্রের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের মিথ্যা তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য। এবং কোনও প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের ভুয়ো তথ্য যাতে কেউ শেয়ার না করেন সে বিসয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ২৫ জন পর্যটক এবং একজন স্থানীয়কে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। জানা যায়, পর্যটকদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে হিন্দুদের হত্যা করে জঙ্গিরা। এই ঘটনায় পাকিস্তানের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল। ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। প্রাথমিক প্রত্যাঘাত হিসাবে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। ফেরানো হচ্ছে পাক নাগরিকদের। শুধু তাই নয়, এই ধরনের ভুয় তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে সরকার। ১৬টি পাক ইউটিউব চ্যানেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি, বন্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এক্স হ্যান্ডেলও।