স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯এপ্রিল : ‘পাকিস্তান একটি দুর্বৃত্ত দেশ যারা সন্ত্রাসবাদকে মদত দিয়ে চলেছে।’ পহেলগাঁও হামলার পর রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে ঠিক এই ভাষাতেই পাকিস্তানকে তুলোধোনা করল ভারত। পাকিস্তান যে বিশ্ব সন্ত্রাসের জনক সে কথা প্রতিষ্ঠা করতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফের স্বীকারোক্তি তুলে ধরা হল রাষ্ট্রসংঘে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ পর্যটক-সহ এক স্থানীয় নাগরিকের। জানা গিয়েছে, সেনার পোশাকে এসে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে খুন করা হয় ওই পর্যটকদের। প্রথমে এই হামলার দায় স্বীকার করেও পরে তা অস্বীকার করে লস্কর ই তইবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। কাশ্মীরের মাটিতে সন্ত্রাস চালাতে এই সংগঠনকে জল-সার দিয়ে মহীরুহ করে তুলেছে পাক সেনা ও আইএসআই। এই হামলার নেপথ্যেও প্রকাশ্যে এসেছে পাক যোগ। যদিও ভারতের দাবি অস্বীকার করে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “সন্ত্রাসবাদকে অর্থ ও মদত দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ গত তিন দশক ধরে করে এসেছি আমরা।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এই কাজ পাকিস্তান করেছে, আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ পশ্চিমের দেশগুলির জন্য। এটা আমাদের ভুল ছিল। যার ফল আমাদের ভুগতে হচ্ছে।”
পাক মন্ত্রীর এই স্বীকারোক্তি রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে তুলে ধরে ভারতের প্রতিনিধি যোজনা জানান, গোটা বিশ্ব শুনেছে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সেই মন্তব্য যেখানে তিনি বলেছেন তাঁরা সন্ত্রাসবাদকে মদত, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে সাহায্য করে পাকিস্তান। যদিও এই স্বীকারোক্তিতে কেউ অবাক হয়নি। কারণ সবাই জানে পাকিস্তান বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদকে ইন্ধন যোগাচ্ছে। এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে এই দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র। সবটা দেখার পরও বিশ্ব আর চোখ বন্ধ করে থাকতে পারে না।”
শুধু তাই নয়, ভারতের সমালোচনা করার জন্য বিশ্ব ফোরামের অপব্যবহার ও অবমূল্যায়নের সমালোচনাও করেন ভারতের প্রতিনিধি প্যাটেল। তার দাবি, সবটা জানার পরও বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংগঠন রয়েছে যারা ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ ও অপপ্রচার চালায়। শুধু তাই নয়, পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর গোটা বিশ্ব এমনকী রাষ্ট্রসংঘ যেভাবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে তার জন্য রাষ্ট্রসংঘে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভারতের রাষ্ট্রদূত। বলেন, “এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকে প্রমাণ করে।”