স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২০ এপ্রিল : বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর সন্ত্রাসমুক্ত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর। উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও অস্ত্র ফেলে শান্তির পথে ফিরছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের। কিন্তু কেন্দ্রের এই দাবি এবার কার্যত নস্যাৎ করে দিলেন কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা। সাফ বললেন, উপত্যকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দিনদিন বাড়ছে। যা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের উপর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্র। কেড়ে নেওয়া হয় পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত হয় সেটি। মোদি ও শাহ-সহ দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব দাবি করে আসছেন বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ফলে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে এসেছে উপত্যকায়। গত ৯ এপ্রিল মুম্বইয়ের এক সম্মেলন থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, “বহু প্রজন্ম ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের যুবসমাজ বোমা, পাথর ছুড়ে, বন্দুক চালিয়ে ভবিষ্যত নষ্ট করেছে। এর আগে কয়েক দশক ধরে দেশের শাসকরা এই আগুন নেভাতে পারেনি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি চিরতরে বদলে গিয়েছে। আমাদের সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং সংবেদনশীলতার কারণে আজ দিন বদলছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সেখানকার যুবসমাজ আজ উন্নয়নের পথে হাঁটছে।”
কিন্তু শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে মনোজ সিনহা বলেন, “বিশেষ করে জম্মুতে জঙ্গিদের কার্যকলাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। আমাদের লক্ষ্য জম্মু ও কাশ্মীর দুই জায়গাকেই সন্ত্রাসমুক্ত করা।” তাঁর এহেন বক্তব্যে কেন্দ্রের ‘সন্ত্রাসমুক্ত কাশ্মীরে’র দাবি নিয়েই নানা প্রশ্ন উঠছে। কয়েকদিন আগেই জম্মু ও কাশ্মীরের আখনুর সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় অনুপ্রবেশের ছক কষেছিল পাক জঙ্গিরা। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। কিশৎওয়ারে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয় ৩ জঙ্গি। যার মধ্যে ছিল জইশ-ই-মহম্মদের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার সইফুল্লাহও। গত এক বছর ধরে চেনাব ভ্যালিতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ জারি রেখেছিল সে। এই সংঘর্ষে শহিদ হন এক জওয়ান। এক রিপোর্ট বলছে, গত বছর সেনাবাহিনীর হাতে নিকেশ হয়েছে ৬৯ জেদাহি।