স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১২ এপ্রিল : ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপুল সম্পত্তির দখল নিল ইডি। শনিবার তদন্তকারী সংস্থার তরফে নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, সবমিলিয়ে ৬৬১ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তির দখল নেওয়া হবে। দিল্লি, মুম্বই এবং লখনৌয়ের যেসব বহুতলে ন্যাশনাল হেরাল্ড এবং অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের দপ্তর রয়েছে, সেগুলি খালি করে দেওয়ার নোটিস দিয়েছে ইডি।
কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেডের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা আগেই দায়ের করেছিল ইডি। সেই মামলার সূত্র ধরে আগেই ইয়ং ইন্ডিয়ান এবং অ্যাসোসিয়েট জার্নাল লিমিটেডের ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই সম্পত্তিরই একটা বড় অংশ এবার অধিগ্রহণ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবারই সেই মর্মে নোটিস জারি করা হয়।
দিল্লির আইটিও, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় অবস্থিত ন্যাশনাল হেরাল্ডের একাধিক দপ্তরে শনিবার নোটিস দেওয়া হয়। লখনউয়ের বিশ্বেশ্বর নাথ রোডের এজিএল ভবনেও শুক্রবার নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই জায়গাগুলি খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইডি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে রাজস্থান এবং তেলেঙ্গানার ভোটের প্রাক্কালে ৭৫২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এর মধ্যে ইয়ং ইন্ডিয়ানের ৯০ কোটি এবং AJL-এর ৬৬১.৯ কোটি টাকার সম্পত্তি ছিল। অ্যাসোসিয়েট জার্নাল এবং ইয়ং ইন্ডিয়ান, দুটি সংস্থাই কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত। এর মধ্যে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুলের গান্ধী দুজনেই ইয়ং ইন্ডিয়ানের ডিরেক্টর। AJL-এর সঙ্গেও সরাসরি যোগ রয়েছে গান্ধী পরিবারের।
প্রসঙ্গত এর আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া, রাহুলদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ডের দপ্তরেও তল্লাশি চালিয়েছে। এই মামলায় অবশ্য কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের কোনও নেতা এখনও গ্রেপ্তার হননি। কংগ্রেস অবশ্য বরাবরই ন্যাশনাল হেরাল্ডের সবরকম তদন্তপ্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দাবি করে। উল্লেখ্য, যে যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে দিল্লির ঐতিহ্যবাহী হেরাল্ড হাউস, মুম্বইয়ের হেরাল্ড হাউস এবং লখনউয়ের নেহরু ভবন।