স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২২ জানুয়ারি: কখনও তিনি ধ্যানে বসেন কন্যাকুমারীতে, আবার কখনও কেদারনাথে। দু’বারই লোকসভা ভোটর প্রচার পর্ব শেষে ধ্যানে বসতে দেখা গিয়েছিল নরেন্দ্র মোদীকে। এ বার দিল্লিতে যে দিন বিধানসভা নির্বাচন, সেই ৫ ফেব্রুয়ারির দিনটিকে কুম্ভে স্নান করার জন্য বেছে নিয়েছেন মোদী। এই দিন বাছাইয়ের পিছনে দৃশ্য তৈরির রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বিরোধীদের দাবি, এ সবই হিন্দুত্বের বার্তা দিয়ে ভোটারদের মনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা।
প্রায় এক সপ্তাহ হল কুম্ভ মেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের মতে, স্নানের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে বেছে নিতে চলেছেন মোদী। সেই দিন কোনও শাহি স্নান নেই। তা সত্ত্বেও ওই দিনটি বেছে নেওয়ার পিছনে স্পষ্ট রাজনীতি রয়েছে বলেই মনে করছেন বিরোধীরা। ওই দিন দিল্লিতে ভোট। মোদী যদি কুম্ভে সেই দিন স্নান করতে যান, তা হলে সকাল থেকে গোটা বৈদ্যুতিন মাধ্যম প্রধানমন্ত্রীর সেই স্নানযাত্রা প্রচার করবে। ভোটারদের প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যেই এক ঢিলে দুই পাখি মারার এই কৌশল, মত বিরোধীদের। আম আদমি পার্টির এক নেতার কথায়, ‘‘আসলে দিল্লির ভোটারদের উদ্দেশ্যে হিন্দুত্বের বার্তা দিতেই ওই উদ্যোগ। কারণ নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মতো ভোটের দিনে প্রচার করা যায় না। কিন্তু কুম্ভে স্নানের মাধ্যমে পরোক্ষেহিন্দুত্ব তথা বিজেপির হয়ে প্রচার চালাবেন মোদী।’’
যদিও রাজনীতিকদের একাংশের মতে, উত্তর ভারতে অবস্থিত হলেও দিল্লির চরিত্র কখনওই গো-বলয়ের অন্যান্য রাজ্যের মতো নয়। দিল্লির চরিত্র ‘কসমোপলিটন’, যেখানে কার্যত সব রাজ্যের বাসিন্দারাই বসবাস করেন। ফলে কুম্ভ স্নানের মাধ্যমে হিন্দুত্বের বার্তা কতটা সফল হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেকের মনে। আবার এই দিল্লিই ২০২০ সালে সাক্ষী থেকেছে গোষ্ঠী সংঘাতের। রাজনীতিকদের মতে, দিল্লিতে চাপা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আজও রয়েছে। মোদীর আগেই ২৭ জানুয়ারি প্রয়াগ সঙ্গমে ডুব দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ১ ফেব্রুয়ারি ও ১০ ফেব্রুয়ারি কুম্ভ মেলায় যাওয়ার কথা রয়েছে যথাক্রমে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর।