স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৭ জানুয়ারিঃ ১৪৪ বছর পর এমন বিরল ঘটনা। প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা। তা আয়োজনে এতটুকু খামতি রাখেনি যোগী আদিত্যনাথ সরকার। ভক্তের ভক্তিতে যেন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছে মহাকুম্ভ নগর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১১ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৬ দিনেই ৭ কোটিরও বেশি তীর্থযাত্রী পুণ্য অর্জনের জন্য মহাকুম্ভের পবিত্র সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন। শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারই ৩০ লক্ষেরও বেশি ভক্ত পুণ্যস্নান করেছেন।
মহাকুম্ভের পবিত্র পরিবেশে পুণ্য লাভ করতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য তো বটেই, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাতারে কাতারে পুণ্যার্থী ভিড় জমিয়েছেন। পবিত্র সঙ্গমের আধ্যাত্মিক পরিবেশে নিজেদের ডুবিয়ে দিয়েছেন। বিশ্বাস, ঐতিহ্য, ভক্তি, সংস্কৃতি সব মিলেমিশে মহাকুম্ভের এই মহাযজ্ঞকে একেবারে সার্থক করে তুলেছে। আর এই সাফল্যকে আরও চূড়ায় নিয়ে যেতে যোগী সরকার সর্বদাই তৎপর। আগামী ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যায় যে পুণ্যার্থীর ঢল নামবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই পৌষ পূর্ণিমা এবং মকর সংক্রান্তির পর মৌনী অমাবস্যাও যাতে সাফল্যের শিখরে পৌঁছয়, তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে যোগী সরকার। ডিজিপি প্রশান্ত কুমার সমগ্র এলাকা পরিদর্শন করেন। আইসিসিসি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সভায় মুখ্যসচিব সমস্ত সেক্টরের ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ এবং সমস্ত সেক্টরের কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী মহাকুম্ভে গেলে আগমনে যাতে কোনওরকম খামতি না থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেছেন। এককথায় সমস্ত আয়োজনে প্রশংসার শীর্ষে থাকাই যোগী সরকারের লক্ষ্য। যোগী সরকারের অনুমান, মহাকুম্ভে এবছর ৪৫ কোটিরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটবে। প্রয়াগরাজের প্রচণ্ড ঠান্ডাও ভক্তকুলকে কাবু করতে পারেনি। বরং ভক্তিভাবে পূর্ণ হয়ে তাঁরা স্নান করেছেন। পুণ্য ও ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভের আশায় এই ঠান্ডা যে আসলে কিছুই নয়, ‘ভক্তি’সাগরে ডুব দিয়ে তা বারবার প্রমাণ করছেন পুণ্যার্থীরা।
তথ্য বলছে, এবছর ১১ জানুয়ারি মহাকুম্ভ শুরুর আগেই প্রায় ৪৫ লক্ষ ভক্ত স্নান করেছিলেন। তবে ১২ জানুয়ারি তা রেকর্ড সংখ্যায় এসে দাঁড়ায়। ৬৫ লক্ষ ভক্ত ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দেন। ভক্তি, বিশ্বাস, পুণ্য অর্জনের বাসনা নিয়ে মহাকুম্ভ যে কানায় কানায় পূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য।