স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৭ জানুয়ারিঃ আবারও পরিচিত ভয়াবহতার ছবি ধরা পড়ল জাল্লিকাট্টুতে। বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ুর নানা এলাকায় অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হল ষাঁড়-মানুষের লড়াইয়ে। আহতের সংখ্যা ৪০০ পেরিয়েছে। উল্লেখ্য, জাল্লিকাট্টু নিয়ে মামলা দায়ের হলেও এই প্রথাকে বৈধ বলে আখ্যা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
স্পেনের ‘সান ফার্মিন’ বা ষাঁড়ের সঙ্গে দৌড় কিংবা আমেরিকার ‘বুল রাইডিং’-এর মতোই অত্যন্ত বিপজ্জনক ‘জাল্লিকাট্টু’। অতীতে একাধিক মর্মান্তিক দুর্ঘটনাও ঘটেছে। সেই ভয়ানক ঘটনার স্মৃতি আরও একবার ফিরল নতুন বছরে। ষাঁড়ের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ বছর বয়সি এক ব্যক্তির। জাল্লিকাট্টু দেখতে আসা ৪৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ষাঁড়ের গুঁতোয়।
৫৬ বছর বয়সি পি পেরিয়াস্বামীর মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। জাল্লিকাট্টু থেকে বেরিয়ে আসা ষাঁড় আচমকাই গুঁতিয়ে দেয় বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত এক বৃদ্ধকে। ৭০ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। উল্লেখ্য, গোটা তামিলনাড়ু জুড়ে একাধিক জাল্লিকাট্টুর উদ্বোধন করেছেন সেরাজ্যের মন্ত্রীরা। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সেরা ষাঁড়ের মালিক একটি গাড়ি পেয়েছেন পুরস্কার হিসাবে। ষাঁড়কে নিয়ন্ত্রণ করে বাইক জিতে নিয়েছেন আরেকজন। দুটি পুরস্কারই দেওয়া হয়েছে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন এবং উপমুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিনের তরফে।
উল্লেখ্য, জাল্লিকাট্টু ‘এরুথাঝুভুথাল’ নামেও পরিচিত। তামিলনাড়ুতে ফসল কাটার উৎসব পোঙ্গলের অংশ হিসেবে ষাঁড়-মানুষের খেলা দেখা যায়। যা দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকে বিপুল জনপ্রিয়। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রেও এই খেলার প্রচলন রয়েছে। তিন রাজ্যেই আইনত বৈধ জাল্লিকাট্টু। যদিও প্রাণী হিংসার অভিযোগ এনে শীর্ষ আদালতে মামলা করছিল করেছিল প্রাণী অধিকার সংগঠন পেটা (PETA)। জাল্লিকাট্টু নিয়ে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, খেলাটি নিষ্ঠুর হলেও এটিকে রক্তের খেলা বলা যাবে না। বৈধতাও বজায় রাখে শীর্ষ আদালত।