স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১০ ডিসেম্বরঃ খেলতে গিয়ে ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে গেল ৫ বছরের শিশু। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে রাজস্থানের দৌসা এলাকায়। মরণকুয়ো থেকে তাকে বের করতে জোরকদমে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। প্রায় ২০ ঘণ্টা ধরে ৭টি জেসিবি ও ৩টি এলএনটি মেশিনে গর্ত খোড়ার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজ খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
গত সোমবার রাজস্থানের দৌসায় কালিখাড় গ্রামে আরিয়ান নামে ওই শিশু তার মায়ের সঙ্গে মাঠের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় নলকূপ বসানোর বোরওয়েলের কাছে খেলতে গিয়ে তার মধ্যে পড়ে যায় শিশুটি। বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে ঘটে এই দুর্ঘটনা। সঙ্গে সঙ্গে এই ঘটনার কথা গ্রামে এসে জানান মহিলা। খবর যায় প্রশাসনের কাছে। শিশুটিকে উদ্ধার করতে তড়িঘড়ি সেখানে উপস্থিত হয় জাতীয় ও রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ভিতরে যাতে অক্সিজেনের সমস্যা না হয় তার জন্য পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। ভেতরে ক্যামেরা প্রবেশ করিয়ে শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
শিশুটির কাছে পৌছতে পাশে সমান্তরাল গর্ত খননের কাজ চলছে। পাশাপাশি দেশিয় পদ্ধতিতে গোল রিং তৈরি করে তা পাইপের মধ্যে ঢোকানো হয় তবে সে পদ্ধতি কাজে আসেনি। যে কোনওভাবে শিশুটিকে বাইরে বের করে আনতে সব রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ গর্তে পড়ে গিয়েছিল পাঁচ বছরের আরিয়ান নামের ওই শিশুটি। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত ২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ধৌসায় জেলা শাসক দেবেন্দ্র কুমার বলেন, “যত দ্রুত সম্ভব শিশুটিকে উদ্ধার করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তাকে সব রকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” এদিকে জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে নলকূপ বসানোর জন্য ওই গর্ত খনন করা হয়েছিল।