স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। ১৯ সেপ্টেম্বর : কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবেই! প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে বিজেপি। কাশ্মীরের সভা থেকে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসলে ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা বাতিলের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে নেয় কেন্দ্র। ৩৭০ নিয়ে কাশ্মীরের মানুষের মধ্যে যেমন ক্ষোভ রয়েছে, তেমনই ক্ষোভ রয়েছে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা হারানো নিয়েও। সেই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টাও করেছে বিজেপি। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রী জোর গলায় বলে গেলেন, কাশ্মীর পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের সভায় বললেন, “আমরা যা বলি, তাই করি। বলেছি যখন রাজ্য বানাবই। আপনারা বিজেপিকে সুযোগ দিন, আমাদের প্রার্থীরা আপনাদের সঙ্গে আছে। আপনারা কেশর, টিউলিপ তৈরি করেন, এবার পদ্ম তৈরি করুন।” প্রধানমন্ত্রীর দাবি, “দিল আর দিল্লির দূরত্ব মেটাচ্ছি। গোটা দুনিয়া দেখছে আর অবাক হচ্ছে। জি-২০ হল, খেলো ইন্ডিয়া হল, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হল। এটাই তো কাশ্মীর।”
প্রধানমন্ত্রী বরাবরই কাশ্মীরের ৩ পরিবারের বিরুদ্ধে সরব। এদিন ফের আবদুল্লা পরিবার, মুফতি পরিবার এবং কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “আগেরবার এসে বলেছিলাম ৩ পরিবার জম্মু ও কাশ্মীরকে শেষ করেছে, সেই থেকে ওদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মনে করছে ওদের দিকে কেউ কীভাবে আঙুল তুলতে পারে? ওরা মনে করে সরকারে আসা ও আপনাদের লুঠ করা ওদের জন্মগত অধিকার। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, “পরিবাররা কী করছে? বলছে পুরোনো সময় ফেরাবে। ৩৫ বছরে ৩ হাজার দিন মানে 8 বছর বন্ধ ছিল। গত পাঁচ বছরে 8 ঘণ্টাও বন্ধ হয়নি। আপনারা চান আবার হরতাল হোক? খুন হোক? মেয়েরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হোক? স্কুলে আগুন লাগুক? সিনেমা হল বন্ধ হোক? ব্যবসা নষ্ট হোক?”
মোদির দাবি, ” জমুরিয়ত, কাশ্মীরিয়ত শেষ করেছে তিন পরিবার। কোন পরিস্থিতে ভোট হত মনে করুন। ৫-৬ বাজলেই প্রচার বন্ধ হয়ে যেত। এখন রাতেও প্রচার হয়। গণতন্ত্র উদযাপন করছে। পবিত্র তীর্থক্ষেত্রগুলোও সুরক্ষিত ছিল না। সিনেমা হল বন্ধ ছিল। লালচকে আসা, তেরঙ্গা ওড়ানো দুঃসাহসের কাজ ছিল। এখন ইদ, দিওয়ালি দুই হয়।” প্রধানমন্ত্রী সগর্বে বললেন, “কাশ্মীরের মানুষ আর পাথর ছোঁড়ে না। আজ সবার হাতে কলম, বই। কাশ্মীরের যুব প্রজন্ম আর মজবুর নয়, মজবুত হচ্ছে।”