স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ৬ জুলাই : চলতি মাসেই মোদি ৩.০ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সরকারিভাবে দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, মনে করা হচ্ছে ২৩ বা ২৪ জুলাই ২০২৪ সালের পূর্ণাঙ্গ বাজেট ঘোষণা করবেন তিনি। নতুন বাজেটে করদাতাদের জন্য যে সুবিধাগুলি ঘোষণা করতে পারেন সে সম্পর্কে অনেক প্রত্যাশা এবং জল্পনা রয়েছে। প্রত্যাশার মধ্যে অন্যতম হল স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা বৃদ্ধি।
বেতনভুকদের জন্য প্রতিবছর ৪০ হাজার টাকা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ২০১৮-র বাজেটে ফিরিয়ে আনা হয়। পরে ২০১৯-এর অন্তর্বর্তী বাজেটে সেই সীমা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে স্ট্যান্ডার্ড ডিটাকশন বাড়ানোর দাবি উঠেছে। কিন্তু সেই দাবি মানেননি সীতারমন। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত, এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনের সীমা বাড়িয়ে একলক্ষ টাকা করতে পারেন।
স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন কী? স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বেতনভুক ব্যক্তিদের জন্য একটি ফ্ল্যাট ডিডাকশন। এই কর ছাড় দাবি করতে কারও কাছে কোনও প্রমাণ জমা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রের কর্মীরা এই ছাড় পেয়ে থাকেন। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছর পর্যন্ত স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পুরনো কর ব্যবস্থার অধীনে ছিল। তবে ২০২৩-’২৪ থেকে তা নতুন কর ব্যবস্থাতেও যুক্ত হয়েছে।
শুধু বেতন থেকেই নয়, পেনশন থেকে আয়েও স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন পাওয়া যায়। সেখানে শর্ত থাকে প্রাপ্ত পেনশন বেতন থেকে আয় শিরোনামে চার্জযোগ্য। যা অন্য উৎস থেকে আয়ে অধীনে নয়। পেনশন প্রাপকের মৃত্যুর পরে যদি তা পারিবারিক পেনশন হয়, তাহলে সেই প্রাপক যে টাকা পান, তা অন্য উৎস থেকে আয় শিরোনামে চার্জ যোগ্য। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনে আরও উপকারী করতে এবং সঞ্চয়ে সাহায্য করতে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধি করা উচিত বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা। সেই কারণে সরকার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়াতে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।