স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ১৩ মার্চ : বেঙ্গালুরুর রেস্তরাঁয় ভয়ংকর বিস্ফোরণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করল এনআইএ। ধৃত ব্যক্তির নাম সাব্বির বলে জানা গিয়েছে। তাঁর সাম্প্রতিক ভ্রমণ ইতিহাস খতিয়ে দেখেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। তিনি মূল অভিযুক্তর প্রধান সঙ্গী ছিলেন বলে অনুমান। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছিল।
তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, বল্লরীর কাউল বাজার থেকে ধৃত সাব্বির বিস্ফোরণের পরিকল্পনার কথা আগে থেকেই জানতেন। এর আগে গত সপ্তাহে আরও দুই সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন কাউল বাজারের বস্ত্র ব্যবসায়ী। অন্যজন পিএফআইয়ের সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলেই অনুমান। তিনি এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম মাথা বলেই মনে করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, এই ব্যক্তি অনেকের মগজধোলাই করেছেন। এমনকী, যিনি বোমা রেখে গিয়েছিলেন তাঁকেও উসকানি দিয়েছিলেন এই ব্যক্তিই!
গত সপ্তাহে বিস্ফোরণের ‘ভিলেন’কে ধরতে নগদ পুরস্কার ঘোষণা করে এনআইএ। জানিয়ে দেওয়া হয়, রেস্তরাঁয় বোমা রেখে যাওয়া ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জানান, অভিযুক্তের বয়স ২৮ থেকে ৩০-এর মধ্যে। এনআইএ তদন্তের পাশিপাশি বেঙ্গালুরু পুলিশ বিস্ফোরণের ঘটনায় বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন এবং বিস্ফোরক পদার্থ আইনের অধীনে মামলা দায়ের করেছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মার্চ বেঙ্গালুরুর এক রেস্তরাঁয় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বেঙ্গালুরুর কুণ্ডলাহল্লিতে রামেশ্বরম
নামের রেস্তরাঁতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বেঙ্গালুরুতে এই বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর মাইসুরুতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সিদ্দারামাইয়া। তিনি জানান, “অজ্ঞাতপরিচয় কোনও ব্যক্তি রেস্তরাঁর ভেতর এই বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ রেখে আসে। যার জেরেই এই বিস্ফোরণ। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করছি। এটি একটি আইইডি বিস্ফোরণ। আমরা এখনও জানি না কে এই ব্যাগ ভেতরে রেখে আসে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছি।”