স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০১ ফেব্রুয়ারি : বছর পাঁচেক আগে অনেকেই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে দাঁড়ি টেনে দিয়েছিলেন। সব ঠিক থাকলে সেই চম্পাই সোরেনই আদিবাসীভূমের কুরসিতে বসতে চলেছেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ারে টানাপোড়েন কম দেখেননি চম্পাই । কিন্তু রাজনৈতিক কেরিয়ারের শেষদিকে এসে এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি যে তাঁর কাছে চলে আসবে সেটা হয়তো নিজেও ভাবেননি সিংভূমের টাইগার।
আদিবাসী আন্দোলনে অবিভক্ত বিহার যখন জ্বলছে, তখন থেকেই শিবু সোরেনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন চম্পাই। বস্তুত গোটা সিংভূম জেলার সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তিনিই। সেরাইকেলা-খরসঁওয়া জেলার সেরাইকেলা আসনে ২০০৫ সাল থেকে টানা চার বার জেএমএমের টিকিটে জিতেছেন তিনি। এর আগে অর্জুন মুন্ডার নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারে ২০১০ থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত মন্ত্রী হন চম্পাই। হেমন্ত সোরেনের বিদায়ী মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী।
কৃষক পরিবারের সন্তান চম্পাই মাধ্যমিকের পর আর পড়াশোনা করেননি। জেএমএম প্রতিষ্ঠাতা শিবু সোরেনের ডাকে ঝাঁপিয়ে পড়েন আদিবাসী আন্দোলনে। আলাদা ঝাড়খণ্ড রাজ্য তৈরির নেপথ্যে শিবু সোরেনের পাশাপাশি তাঁরও বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই আদিবাসী আন্দোলনের সময় থেকেই সোরেন পরিবারের ঘনিষ্ঠ তিনি। গোটা সিংভূম এলাকায় একপ্রকার অপ্রতিরোধ্য চম্পাই। তাঁকে তাঁর অনুগামীরা ডাকেন ‘টাইগার’ নামে।
এমনিতে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি চম্পাইকে। তবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি তিনি খান ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে। সেবার জামেশেদপুর আসনে বিরাট ব্যবধানে হেরে যান তিনি। তার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলে দেন, এর পর হয়তো আর নিজের পুরনো সম্মান ফেরত পাবেন না তিনি। কিন্তু ভাগ্যচক্রে পাঁচ বছর বাদে সেই চম্পাই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।