স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ০১ ফেব্রুয়ারি : পুলওয়ামা, বালাকোট কাহিনি থেকে মুখ ফেরালেন খোদ ভারতীয় দর্শকরাই! দেশপ্রেম দেখিয়েই বক্স অফিসে কিস্তিমাত করতে চেয়েছিলেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। ঠিক যেমনটা ২০২৩ সালের সাধারণতন্ত্র দিবসে ‘পাঠান’-এর দৌলতে করতে পেরেছিলেন। তবে এবার হিসেবটা একটু নড়চড় হয়ে গেল! সেই একই দেশপ্রেমের গাঁথা আদ্যোপান্ত মশালা মোড়কে দেখালেন ঠিকই, কিন্তু ভারতীয় দর্শকরা এবার আর সেই ম্যাজিকে ভুললেন না! সিদ্ধার্থ, শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ ৩ দিনে যেখানে ৩০০ কোটির গণ্ডী ছাড়িয়েছিল, সেখানে হৃতিক-দীপিকার মতো বলিউডের দুই গ্ল্যামারাস দুঁদে তারকাও ‘ফাইটার’-এর উড়ান সেরকম সফল করতে পারলেন না। ভারতীয় বক্স অফিসেই ফিকে পুলওয়ামা, বালাকোটের আঁধারে তৈরি সিদ্ধার্থ আনন্দের ‘ফাইটার’ ম্যাজিক।
তবে দেশে কচ্ছপ গতিতে হলেও বিদেশে কিন্তু মারকাটারি ব্যবসা করছে ‘ফাইটার’ । ভারতে যেখানে রিলিজের একসপ্তাহেই ১৫০ কোটির ব্যবসা করতে নাভিশ্বাস উঠছে হৃতিক-দীপিকার ছবির, সেখানে মার্কিন মুলুক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে তুলনামূলক ভালো ব্যবসা করছে এই সিনেমা। সাত দিনে ভারতে মোটে ১৪০ কোটি টাকা আয় করেছে ‘ফাইটার’। আর গোটা বিশ্বে ব্যবসার অঙ্ক ছুঁয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি। যা কিনা গতবছরের সিনেমার নীরিখে অনেকটাই কম। হৃতিক রোশন, দীপিকা পাড়ুকোন, অনিল কাপুরের মতো কাস্টিং, বিগ বাজেট অ্যারিয়াল অ্যাকশন, মশালা ফিল্মের সমস্ত উপকরণ মজুত থাকলেও কেন ব্যবসা করতে খাবি খাচ্ছে ‘ফাইটার’? সিনেবাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বেশ উদ্বিগ্ন।
গত ২৫ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে ‘ফাইটার’। বড়পর্দায় হৃতিক-দীপিকার ( রয়াসনের পাশাপাশি পুলওয়ামা, বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের কাহিনি দেখার আশায় বুক বেঁধেছিলেন দর্শকরা। প্রথম দিন দুয়েকে আয় হয়েছিল মোটে ৬১ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার, ওপেনিং ডে-তে ‘ফাইটার’ ব্যবসা করেছিল ২২.৫ কোটি টাকার। সাধারণতন্ত্র দিবসে অবশ্য সেই আয়ের গ্রাফ বেশ খানিকটা উঠেছে। শুক্রবার আয় করেছে ৩৯ কোটি টাকা। সপ্তাহান্তে শনিবার-রবিবার সেই ব্যবসাও ছাড়াল সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘ফাইটার’। তবে সোম, মঙ্গল, বুধে মন্থর গতিতেই এগল ‘ফাইটার’। যা কিনা ওয়াকিবহাল মহলের উদ্বেগের কারণ হিসেবে ঠেকছে।