স্যন্দন ডিজিটেল ডেস্ক, ২৯ জানুয়ারি : রাজনৈতিক মহলে রামমন্দির নিয়ে আঁকচা-আঁকচি অব্যাহত। তবে সেসবে ভক্তদের কী! তাঁরা তো রামলালার দর্শনেরই মুখাপেক্ষী। একবার রামমন্দিরে প্রবেশ করে রামলালার দর্শন পেলেই মন্ত্রমুগ্ধ তাঁরা। আর তাই তো কনকনে শীতকে উপেক্ষা করেও প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ দর্শনার্থী ভিড় জমাচ্ছেন অযোধ্যায়। ফলস্বরূপ ৬ দিনে প্রায় ১৯ লক্ষ ভক্তসমাগমের সাক্ষী রইল রামমন্দির।
গত ২২ জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনে গোটা দেশের সব রাস্তা যেন এসে মিশেছিল এই রামমন্দিরে। রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অমিতাভ বচ্চন থেকে রজনীকান্ত, রণবীর কাপুর থেকে কঙ্গনা রানাওয়াত, মুকেশ আম্বানি-সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তার পরের দিন থেকেই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়, সেদিন ৫ লক্ষ মানুষ পৌঁছে গিয়েছিলেন রামমন্দিরে। কিন্তু প্রবল ভিড়ের জেরে ২৩ জানুয়ারি অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সমস্যা মেটাতে আসরে নামেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দর্শনার্থীরা যাতে সুষ্ঠভাবে রামলালার দর্শন পান, তার জন্য একটি বিশেষ দল তৈরি করার নির্দেশ দেন। ফলে পরবর্তীতে ভক্তদের ঢল নামলেও অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি।
ট্রাস্টের হিসেব বলছে, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭ এবং ২৮ জানুয়ারি রামমন্দিরে ভক্তের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ২.৫ লক্ষ, ২ লক্ষ, ৩.৫ লক্ষ, ২.৫ লক্ষ এবং ৩.২৫ লক্ষ। আর তাতেই ছদিনে ১৮ লক্ষ ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে স্বাগত জানিয়েছে রামমন্দির। যার জেরে লাভবান হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
রামমন্দিরের একতলার কাজ শেষ হয়েছে, আরও দুটি তলার নির্মাণ কাজ চলছে। এরই মধ্যে গবেষকদের দাবি, রামমন্দিরটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে তীব্র ভূমিকম্পেও এতে কোনও আঁচ পড়বে না। রুরকির CSIR-এর গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৮ হলেও সমস্যা হবে না। অর্থাৎ আগামী বহু বছর যাতে অক্ষত থাকে রামমন্দির, সেভাবেই তা নির্মিত হয়েছে।